বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদটা ছিল রাতে।
হঠাৎ করে দেখা হল কাজলা দিদির সাথে।
কাজলা দিদি কাজলা দিদি কোথায় ছিলে তুমি?
চোখের জলে তোমার পথটি চেয়েই আছি আমি।
আজও দিদি জোনাক জ্বলে, পুকুর পাড়ে লেবুর তলে,
ফুলের গন্ধে আজও আমি একলা জেগে রই।
দিদি তোমার শোলোক গুলো হারিয়ে গেল কই?
ওই শোন না এখনো কেমন ঝিঁঝিঁরা করে গান।
এমন সময় তোমায় ছাড়া মন করে আনচান!
রোজ সকালে শিউলি ঝরে ভুঁইচাঁপারা ফোটে।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিরা জোটে।
তখন দিদি আমিও তোমার পথটি চেয়ে রই।
দিদি তোমার শোলোক গুলো হারিয়ে গেল কই?
তোমার কথা মনে এলেই স্তব্ধতা ঘর বাঁধে।
জানো দিদি তোমার জন্য মা'ও ভীষণ কাঁদে।


কেমন যেন পলকা হাওয়ায় লাগলো মনে দোলা,
আকাশ পানে চেয়ে দেখি সাতটি দরজা খোলা।
ফুলের গন্ধ ঝিঁঝিঁর গান জুড়িয়ে দিল মন ও প্রাণ।
দিদি আমায় জড়িয়ে ধরে চাঁদটা আকাশ রাঙে।
এমন সময় হঠাৎ করে ঘুমটা গেল ভেঙে।
চেয়ে দেখি বিছানাতে একলা পড়ে রই,
‘মাগো আমার শোলোক বলার কাজলা দিদি কই?’