ফ্যাকাসে জীবনটা একটু রঙিন করার লোভে
রামধনু থেকে রঙ চুরি করলাম ক-মুঠো।
কিন্তু প্রিয় নীল রঙ কম পড়লো তাতে,
সব নীল ছিনিয়ে নিলো আকাশ।
অভিমানে জুজু হয়ে আঙুলের আনাচেকানাচে 
লেগে থাকা নীল টুকু নিয়ে নির্দয়ের মতো
ঘষে নিলাম রক্তিম ছলছল দুটো চোখে।
কিন্তু হায়,- সেটুকু ও রইলো না সুখে,
ফোঁটা ফোঁটা করে, কপোল বেয়ে গড়িয়ে চলল
বঙ্গোপসাগরের কোলে।
না- আর সহ্য হল না, সব বাঁধ ভাঙলো সহ্যের।
ক্রোধে রাগে গর-গর করতে করতে
কপালে কোপ তুলে, বজ্র মুষ্টি খুলে, 
বুকটা চিরে কঠিন পাথরের মতো 
ধূসর হৃদপিণ্ডটা তুলে নিই নিঠুর এ হাতে।
চিৎকার করতে করতে সজোরে ছুঁড়ে মারি
স্বার্থপর নীল আকাশের দিকে,-
“বেইমান- এইটুকু তো নীল, 
 শুধু এইটুকু নীল দিতে পারলি না আমায়,
 খা তুই সব রঙ গিলে খা,- এই নে,-
 গিলে খা আমার এ আধপোড়া হৃদপিণ্ডটা ও”


ছুঁড়ে মারা সেই আধপোড়া হৃদয়টা আজও ফেরেনি।
জানি সে ফিরবে কোন এক নির্ঘুম রাতে,
আকাশের পুব কোন ঘেঁষে,
বাতাসের স্পর্শে আসতে না আসতেই
দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে,
আর মাটি ছুঁই-ছুঁই করার আগেই নিভে যাবে,
মিশে যাবে হাজার নুড়ি পাথরের ভিড়ে।