আমি তরুণ বীর!
আমি প্রতীক চির শক্তির!


আমি উত্তাল অশান্ত
আমি মুছে দিতে পারি পৃথিবীর
আছে যা কিছু ভ্রান্ত।
আমি বুকে নিয়ে অমিয় সাম্য–সত্যের বাণী
করি ছিন্ন অন্যায়ের আড়ষ্ট শিকলখানি।


আমি দূর্দম্য–দুর্বার, তীক্ষ্ণ–তিক্ত
আমি নতুনত্বের উন্মাদনায় থাকি সিক্ত।
আমি মানি নাকো ধৈর্যের বাঁধ
চেতনায় থাকে মোর উদ্দাম প্রতিবাদ।


চারিদিকের শত বাধা আমায় ধরে ঘিরে
ঝড়ঝঞ্ঝা আসে মোর এই শক্ত মনের নীড়ে।
থাকি আমি আত্মপ্রত্যয়ে উচ্ছল সারাবেলা,
পারি ভাঙতে বাঁধা পাহাড়সম, নির্ভয়ে একেলা।


আমি তরুণ, বুকে আছে মোর তাজা প্রাণ,
শত ব্যাথায়ও গাইতে পারি বিজয়ের ই গান।
পাছে লোকে বলবে কি শুনিনা সে মানা,
অন্যায়ের দুয়ারে যম হয়ে দেই আমি হানা।
জানি আমি ন্যায়ের পথে বারবার মরতে,
হই উদ্যমী নির্মম নির্যাতনের হস্ত, চূর্ণ–বিচূর্ণ করে দিতে।


দেশ ও দশের কল্যাণে আমি সদা করি কাজ
নন্দলালেরা আমায় দেখে তাই পায় গো ভীষণ লাজ,
আলস্যটাও আমায় দেখে পায় গো ভীষণ ভয়
দাসত্ব স্বীকারে আমার মাথা কভু যে নোয়াবার নয়।


দেখো ওই জনম দুঃখী দুর্বলেরা
আজি আছে আমার পানে চেয়ে,
দেবো ফিরিয়ে অধিকার তাদের,
তারুণ্যের গান গেয়ে।
আজি ধরিত্রীর সব জীর্ণতা
অবসানের শপথে
বুকে নেই নব শ্বাস,
যুগে যুগে মহাযুগে, দিগ্বিদিকে
ধ্বনিয়া উঠুক তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।