বসন্ত এসে গেলেই, তরুদল আর পুরোনো স্মৃতি আওড়ায় না।
নবাগত সবুজের ব্যস্ততায় ধুয়ে মুছে যায় অতীতের স্মৃতি।
শুধু দু-চারটে অবাঞ্ছিত ঝরাপাতায় মৃতপ্রায় ক্ষমাহীন জিজ্ঞাসা,
তখনও জেগে থাকে।
আলোর সোহাগে গা চুবোলে ব্যয়িত রাতের নক্ষত্রদের কথা কদাচিৎ মনে আসে। পরে থাকে পৃষ্ঠাবন্দী রাতভেজা গল্পেরা।
পরিত্যক্ত  খোলসে পরে থাকে জীবনের গ্লানি,
নতুন পোশাকে নীলাভ ঘাসে গা এলিয়ে, পতঙ্গ আঁকে নতুন জীবন।
পুরোনো আবাস ছেড়ে কালো হাঁস, নতুন পিপাসা মেখে ডানা মেলে নতুন পরিযানে।
তুমিও তো অনায়াসে ফেলে দিলে স্মৃতির ঘ্রাণ সব,
পরশমথিত মুহূর্তগুলোকে নিজহাতে নিক্ষেপ করলে উপেক্ষার চিতায়।
ক্রূর আততায়ীর ন্যায় অক্লেশে ছুরি বিদ্ধ করলে আমার দেওয়া অনুভূতিগুলিকে। টেনে হিঁচড়ে শিকড় থেকে উপরে ফেললে তোমাতে আমার যা কিছু  আছে।
পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ুর মত মানুষও পারে বুঝি বদলে ফেলতে আগেকার ছবি! তৃষ্ণা ফুরোলেই ভুলে যায় নদীর মহানতা।
তবে আমায় ছোঁয়না কেন ক্লান্তি হৃদয়ের পথ চলায়!
আমিতো পারিনা হতে চখাচখি, সরালীদের মত  পরিযায়ী কিংবা ভ্রষ্ট কোন পথিক।
পাঁজড়ের ডেরায় তুমি সঞ্চিত থাক জীবাশ্মের ন্যায়।
তোমার পরে, আমিতো পারিনি আজও  পুষতে কাউকে মনের খাঁচায়।