ঐ যে দক্ষিণ শাখার পাতাগুলো,
হাওয়ায় সাথে ওদের বড় সখ্যতা।
আর পূবের দিকেরগুলোর সারাদিন শুধুই ব্যস্ততা।
উত্তর পশ্চিমের পাতা গুলোই,
চার পাঁচটা টুনটুনি বাসা বেধেছে।
শেষ বিকেলের আলোয় খেলায় মত্ত আমার পত্ররাশি।
আমি প্রাণভরে আমার মুখরিত সংসার দেখি।
এমনি করে কেটে যাবে বহুকাল,
তারপর একদিন হঠাৎ নিভু নিভু হেমন্তের ছোঁয়ায়,
চারপাশটা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে উঠবে।
তখন অতিশীঘ্র আসা সন্ধ্যার গাঢ় নীলে,
ভেসে উঠবে ধূসর একাকীত্বের আহ্বান।
অতপর ক্রমশ উদ্যত হিমের ক্ষিপ্ত বাহু,
একের পর এক খুবলে নেবে আমার পাতাদের।
আমি ভয়াবহ নির্জন যন্ত্রণা বুকে নিয়ে,
বুদ্ধের মত শান্ত দু-চোখে, শিশির স্বচ্ছ বিছানায় ওদের মৃত্যুঘুম দেখব।
স্বজন হারানোর ব্যথায় কুঁকড়ে উঠব আমি,
আমার কণ্ঠ পোড়াবে নিঃসঙ্গতার শীতল দাবানল,
তবু আমি কিচ্ছুটি বলবনা, কাঁদবনা বা করবনা বিলাপ।
পর্বতের ন্যায় ধীর,স্থির, অনড় হয়ে,
আমি ঐ আদিম নক্ষত্রদের ছায়ায় বেঁচে রইব।
যেমন,
মন মরে গেলেও মানুষ বেঁচে রয়।