কেউ কিচ্ছুটি দেখতে পাচ্ছে না,
আথচ দাউ দাউ করে জ্বলছে আমার হৃদয়ের সমস্ত উঠোন।
মুহূর্তে নিঃশেষ হচ্চে সুনিপুণ স্বপ্নের দালান কোঠা।
উন্মাদের ন্যায়,
আমি দিগ্বিদিক দু-দণ্ড উপশম খুঁজে বেড়াচ্ছি।
নেই নেই,
আমার জন্য নিভৃতির দু-ফোঁটা জল কোথাও নেই।
অথচ কেউ কিচ্ছুটি দেখতে পাচ্ছে না, শুনতে পাচ্ছে না।
বাতাসে স্বপ্নের জ্যান্ত পোড়া পোড়া গন্ধ।
অলিন্দ নিলয়ে ভৈরবী অনল।
অথচ এখানে আমার সোনাঝরা সকাল আসতো,
আসতো শালিক চড়ুইদের কলকাকলি।
পুঁইয়ের ডগায় শিশির যেন চূর্ণিত  হীরক।
আমি আলতো করে ছুঁয়ে নিতাম।
এখানে আমার আঁধার সাঁতরে, জোছনা আসতো।
জোছনা নিয়ে রুপোলী চাঁদ,
আসতো নক্ষত্রেরা।
বঞ্চিত আমি কাঙ্খিতদের ওদের মাঝে খুঁজে নিতাম।
না না, কিচ্ছুটি বাকি থাকবেনা আর কিচ্ছুটি না।
ভ্রম ভাঙ্গার উল্কাপিণ্ড ছুটে এসেছে।
স্তরে স্তরে জমা স্মৃতি আজ খনিজ তৈল সম।
এ কি বিধ্বংসী সন্ত্রাসী দাবানল!
খুবলে খেয়ে নিচ্ছে আমায়।
আকাশ বাতাস ছাপিয়ে ছাই ছাই স্বপ্ন।
কিন্তু  আশ্চর্যভাবে কেউ কিচ্ছুটি দেখতে পাচ্ছে না।
চামড়ার মোড়কে আমি স্পন্দিত  ভিসুভিয়াস।
আইডাহো, আমাজনের ক্ষয় ক্ষতি তো সবাই জেনেছে, অন্তত সবাই দেখেছে ওদের দহন জ্বালা।
অসহায় আমার দহন তো কেউ দেখতে পাচ্ছে না।