নির্জন রাত, আঁধারেতে ঢাকা
সাড়া নেই কারো কোথা।
সন্তান তরে আছে শুধু বসে
একেলা শিয়রে মাতা।


ঘুমহীন চোখ, করুণ কণ্ঠে
কহে মাতা বাছা মোর।
ভয় নাই আর, কেটেছে বিপদ
এখুনি হইবে ভোর।


বিপদের দিনে বিরহী মায়ের
হৃদয় দু:খে কাঁদে।
রুগ্ন ছেলের শিয়রে রয়েছে
আশায় বক্ষ বেঁধে।


বার বার গালে চুমু খায় মাতা
কপালে স্নেহের হাত।
কেঁদে কেঁদে কয় মাতার হৃদয়
ছাড়িবনা কভু সাথ।


ছোট কুঁড়ে ঘর, টপ টপ করে
বর্ষার জল পড়ে।
আঁচলের নিচে রুগ্ন শিশুকে
ঢাকিয়া আড়াল করে।


নিজে ভেজে তবু সন্তান স্নেহে
ঢেকে রাখে অঞ্চলে।
যত স্নেহ ছিল জগৎ মাঝারে
মায়েরে দিয়াছে ঢেলে।


মন্দিরে গিয়ে মাথা ঠুকে মায়
বাঁচাও বাছারে মোর।
ঠাকুর দালানে হত্যে দিয়েছে
ছাড়িয়া ঘুমের ঘোর।


গরীব মায়ের পয়সা যে নাই
ডাক্তার ডাকিবার।
ঠাকুরকে বলে ভাল করে দাও
তাই আজ বার বার।