উল্লেখ করি সেই সহোদর দের কথা
যারা আজ উদার প্রান লইয়া করছে আহ্বান
ধরনীর এই বুকে ঐ স্রষ্টার কানে,
যারা আজ উপবাস করিয়া
ভদ্র সমাজের মানুষের প্রাণে চাহিয়া
আশা করিল কিছু অন্ন,
দেখেও দেখলো না আমাদেরই আবিজাত্য
মানুষের নির্দয় হ্নদয়।
না খাইতে পেয়ে এক বোন
দেখতে পেল ঐ বাগে
পেঁকেছে এক কাঁঠাল
আনতে গিয়ে তা পরিল ধরা।
মলিক বলে-
সাহস কত তর!
করিল চপেটাঘাত।
কেরে নিল কাঁঠাল।
খালি বাগে খালি হাতে
দারিয়ে রইল ভুখা,
চিন্তা করে নির্দয় মানুষের ব্যবহার
পারলো না ধরে রাখতে তার সস্তার আঁখিনীর।
বড়ো সাহেব আয় করেছে
অনেক ধন-সম্পদ,
পাশে থেকে অনাথ বোনটির অসহায় চাহুনি,
অনুনয় করলো তার প্রতি
রাস্তার ধারে ছোট ভাই আমার
ক্ষুধার জ্বালায় করে চলেছে কান্না।
বড়ো সাহেব ছেলেকে দিল কিনে
দামি অমৃত,
অনাথকে দিল ধাক্কা, করলো নিপীড়ন।
গড়াগড়ি করলো মাটিতে সে,
এদিক ওদিক কোথাও পেল না কোন ভক্ষ।
জলধারার আঁখি নিয়ে
ধীরে ধীরে হেটে চলল
হলো না ক্ষধা নিবারন,
না সইতে পেরে ক্ষধার জ্বালা
ভাই করেছে আকাল মৃত্যুবরন।
দেখে বোন করলো আত্ম চিৎকার
না সইতে পেরে ভাইয়ের মৃত্যু সেও গেল মরে।
হলো অবসান এখন,
লাগবে না তাদের ক্ষধা আর,
চাইবে না কোন ভক্ষ - তোমার আমার কাছে,
পাইবে তারা খাদ্য এখন ঐ বিধাতার কাছে।