তোমার মুখটি বড় অচেনা অচেনা লাগে,
মাঝেমধ্যে ভাবি -
এ কোন তোমাকে দেখছি, অন্য কেউ না তো?
অথচ আমার কাছে তুমি কিন্তু আবাল্য বিখ্যাত
আদ্যোপান্ত পরিচিত, নিত্যকার রাগে অনুরাগে
সঙ্কটের চাবি।


সংকটমোচনে তুমি করেছ অগণ্য প্রয়োজনে
অপার্থিব দান।
বহু পথ পার করে আমরা উত্তীর্ণ সহযায়ী;
সুখদুঃখে অংশীদার, দোষগুণে নির্বিশেষ দায়ী।
নিয়ত করেছ ঋদ্ধ পরিশুদ্ধ অন্তরের ধনে;
শিখায়েছ গান।


জগতে বিচিত্র সুর জাগে নিত্য অন্তরে বাহিরে,
বড় সুধাময়;
সে সুরে তোমাকে চিনি, অচিন্ত্য-নগরে যাই ছুটে,
মহানন্দে তুলে আনি ধূলিকণা ধন্য করপুটে;
বিস্মরণে ফিরে আসি যথাপূর্ব বেদনার মিড়ে,
হারিয়ে সময়।


তোমার মুখটি আমি ভুলে যাই দুর্ভাগ্যবশত,
বিশ্বচরাচরে;
অথচ পাখিরা দেখি ঘর-কন্যা, অন্নসংস্থান
কী দারুণ দক্ষতায় শেষ করে গেয়ে যায় গান,  
উড়ে যায় নীলাকাশে মহানন্দে নিত্যকার মতো,
প্রহরে প্রহরে।