এক মূহুর্তে অনন্তকাল  ফিরে দেখা হয়নি,
চোখের  পাতায় অন্তর পাখি বসন্ত পথিক।
ফাগুন বাতাসে পুরনো কালের সাদা রোদ,
গোটা গায়ে মেখে না হয় পলাশ খোঁজা হলো-
সভ্যতার সেই স্থায়ী স্তম্ভ নীল পাথরের নক্ষত্রে।


অবান্তর স্মৃতি খবর রাখে না মনের  দেশের,
মাঝ রাতে ইচ্ছে গুলো কলম  হাতে যাযাবর।
নীলিমা সুদূরে শূন্য  হাতে বসে থাকে,
শুধু তোমার  আসা হয় না প্রতি বসন্তে!


ক্রন্দনরঙের মত সুখ গুলো ,
হৃদয় জুড়ে  কৃষ্ণচূড়া জীর্ণ আলোয় পৃথিবী বয়ে যায়,
একটু-আধটু ক্লান্তি থাক বুকের  ভিড়ে একমুঠি সম্বলে।
কতদিন মেঘের  গায়ে  রংধনু  আঁকা  হয়নি,
বৃষ্টি  হয়ে ধূলোর পায়ে স্বপ্ন  দেখা হয়নি,
তবুও  আকাশের  মতো তুমি  প্রাণে- প্রাণ ঢেলে দাও।


জীবনের বুকে আবার  শব্দ  জাগিয়ে,
শেষ সোনালি ভালোবাসা হয়ে উঠে।
আবার ও একবার  মেঠো  পথে হলুদ বসন্ত,
নূপুরের  শব্দে মন কাড়ে দক্ষিণা বার্তায়।
নদীর স্রোতে কবিতা রাঙিয়ে দিয়ে  যায়,
বসন্ত হৃদয়ের আয়না 'কবি 'শুধু  তোমার  ভালোবাসায়।