গড়িয়ে নামা রঙের শরীর ও ফেকাশে আবছা-
পথহীন আলোর সমারোহ,
দিকভ্রষ্টে একাকার,
নতুন করে আবার আলোর কাব্য লিখা হয়নি।
তবুও স্বপ্নের সমুদ্রে সহসা,
ভেসে উঠে অদ্বৈত ভরসা!
শতাব্দী পেরিয়ে ও নীল,
অন্ধকার মুছে ফেলা যায় নি।
ঝিম ধরা স্থির মধ্য রাতটা,
ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায়।
গুড়ো -গুড়ো বিষাদের প্রতিটা;
পাতা মিলে নতুন উপন্যাসের ছন্দ।
হারিয়ে ফেলা সেই চেনা-
রাস্তার ঠিকানা আবার খুঁজা-খুঁজি।
আনকোরা শব্দেরা নির্জনতার;
গা ঘেঁষে বলে - অবান্ধবের রঙ্গমঞ্চ ।
আমি তো বাস্তবকে ভালোবাসি,
তবুও অলীক গল্প সম্পর্ক জুড়ে -
অনন্ত হীন অপেক্ষা দিয়ে এঁকে দেয় মৌনতা।
সাদা হলদে ব্যালকনি টা বার -
বার বলে স্মৃতিটুকু ভরসা।
মনের চাওয়ার এখন নেই ;
দাম, শুধু গন্তব্যের ভেকেন্সি
পূরণ করে চাহিদার হাতে হাত,
রেখে তাল মিলিয়ে চললেই তো হলো !
ও বাড়ির গপ্পো বলা ঠাকুমা ও,
ক্ষয় কাশের বিছানায় শুয়ে শুয়ে,
বাঁধা পড়লেন ভাবমূর্তির চোখে।
চোখ বুজে একপাশ সরে পুরো,
পৃথিবীটাকে চেয়েছিলাম স্পর্শ করতে,
তবে মনে হয় কোন বিলুপ্ত ধুসরের ছায়াঘর।
পুরানো নক্ষত্রের দিন কখনো ফিরে আসে না;
তবুও নিতেজে ডাকে জীবন অবাধ।
ব্যথা আর জীবনের প্রলাপ ঘোরে কেউ যেন বলে যায়,
একে একে সবই তো' ইলিউশনের' বার্তা ।