রাত পোহালেই যদি স্বপ্ন ভাঙত,
তবে দিবাস্বপ্নই হত একমাত্র প্রতিকার ।


তবু আমি স্বপ্ন দেখি -
দেখি কল্পনার রঙে মোড়া আমারই এক পোট্রেট ।


যাতে আমি, আমি নই ;
সে এক অচেনা মানুষ ।


ঘুমের ঘোরে, হাত পা ছুঁড়ে,
যুদ্ধে নামি ।
দাবার ঘরের মতো যুদ্ধের আসর বসে ।
সাদা কালো ঘরে গজ নাই, সৈন্য নাই, ঘোরা নাই,
শুধু একাই আমি - আমি !


আমার মাথায় পাগড়ি গোছের একটা কিছু - আমার কাছে নামহীন -
পালক রয়েছে তাতে গোঁজা ।


এ যুদ্ধে রাজা নাই, শুধু রয়ে আছি আমি -
রাজপুত্তুর বেশে ।


তারপর -
জলের স্পর্শে কোথা হতে হয় নিদ্রাভঙ্গ ।
ভাবি ওটা বুঝি হল আমারই রক্তক্ষরণ ।


তারপর -
ঘুমচোখেই -
কোথা থেকে শুনি হাসির শব্দ,
আর কারো নয় - আমার মায়ের-ই ।


চোখদুটি খুলে যখন মায়ের ঐ হাসিমুখ দেখি,
মনে হয় যুদ্ধই বটে !
মায়ের মুখে হাসি ফোটানো কি কম যুদ্ধের?
মা-রা তো জন্মই নেয় কষ্ট পাবারই জন্যে ।