২৭.০৯.২১
কাল রাতে
মাঝ রাতের একটু আগে-
শরত-আকাশে ছিলো গোল চাঁদ
বাতাসে উপরে ও নীচে বিপরীত দিক থেকে
জ্যোৎস্না মাতাল মেঘেদের ছিলো বেতাল ছুটোছুটি।


জানালার গ্রীল
তার লোহাত্ব হারিয়ে সম্মোহনে-
গলে গিয়েছিলো অবাক মোমের মতো
আর বারোয়ারি চাঁদ তার হাসি নিয়ে
লুটোপুটি খাচ্ছিলো আমার বিছানায়!


আহ্! এই সেই হাসি সেই হাসি-
যে হাসিতে ফেঁসে পতঙ্গ হারায় প্রাণ-
সেই আগুনে হাসি নিয়ে এসেছিলো চাঁদ
কাল রাতে
মাঝ রাতের একটু আগে।


সহ্য হলোনা বুঝি তা বাউণ্ডুলে মেঘেদের-
পূর্ব থেকে ফিন ফিনে সাদা, পশ্চিমের থেকে ভারি,
তেড়ে তেড়ে এলো গুণ্ডাদের মতো-
পুরনো দিনের কোন এক সিনেমার।


আর সেই- সে, বারোয়ারি চাঁদ আমার,
বেহায়াগলির চম্পার সরস হাসি ঠোঁটে নিয়ে-
দিলের হকদার ভেবে ছুটে গেলো তাদের-ই দিকে!
বিস্তীর্ণ নীলের বিছানায় ছোট সে শরীর,
ঢেকে দিলো এসে ডাকতের দল।


মদনা বদন রতির মতিতে উদ্ভাসিত-
প্রগাঢ় প্রণয় অভিলাষ দেখে
জ্যোৎস্না স্নাত নীল আকাশ
নীল আঁচল পেতে
আলো আঁধারে মোহময় হলো আরও।


পুবের আকাশে
বাতাস পোড়ালো উল্কার বাজি
সাদা সাদা ভারি বাউণ্ডুলে সেই
মেঘের বুক থেকে সহাস্যে-
খসে এলো চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে।


বাতাসের ওপারে বাতাসে-
গায়ের কোন দুলালি মেয়ের নীল আলপনা আঁকা
পাতলা ফুরফুরে সাদা রুমালের মতো মেঘ
পুব দিক থেকে ভেসে এসে মুছে দিয়ে গেলো
চাঁদের বদন
তখন আরেকটু গাঢ় নীল হয়ে গেলো গগন।


জানালার ধারে দূরে আর অদূরে আড়ষ্ট-
কালো কালো ছায়া ছায়া গাছ!
ছায়া শরীর এক দাঁড়ালো এসে দুয়ারে আমার,
আর জানালায় দিলো উঁকি,
সেই চাঁদ- উদোম শরীরে বারোয়ারি চাঁদ।