১৮.০৪.২২


বহুদূর থেকে
নিঃশব্দ খরগোশের পায়ে পায়ে
সন্ধা নেমে আসে ধীরে
ফিরে আসে পাখিরা তাদের নীড়ে।
অন্ধকারের যোনির ভিতর- শিশিরে
আচানক ভেজে ঝরা পাতা,
শরীরের ভাজে বয়ে যাওয়া মৃতের শান্তি,
শিরায় শিরায় প্রবাহিত শীতল পরশ তার-
যদিও স্পন্দন পলাতক ঘন কালো বন।
জোনাকি মেয়েরা
নৃত্যলয়ে একে একে জেগে উঠে।
ঝিঝি পোকাদের ডাক,
শন শন উড়ে যায় সরালির ঝাঁক,
কোনো অন্ধকার গন্তব্যে তাদের।
জীবন বিস্ময়!
যাওয়ার যেখানে সেখানেই সকলে যায়
আলোতে কিংবা অন্ধকারে।
স্পন্দন ফিরে এলো বাতাসে-
তুমি এসে দাঁড়ালে আমার পাশে,
লক্ষি একটা পেঁচা দিয়ে গেল ডাক,
অন্ধকার এনেছে স্পন্দন তারও জীবনে।
অজানা আশঙ্কা নিয়ে
তুমি তাকালে আকাশ,
সুরগঙ্গা থেকে-
ছুটে গেলো একটি তারা, দিশেহারা;
তোমার প্রশ্বাস-
এঁকে দিলো বনের প্রান্ত ধোঁয়াশা কাদা।
কখনও সময় আসে শূন্যতার হাত ধরে,
আমাদের বোধে-
ব্যাখ্যাতীত শূন্যতায় শ্রাবণ হৃদয়,
হাহাকারে ভরে
হয়ে ওঠে মরুময়!