২০.০৪.২০


এখনও দেখি আমি
শৈশবের যাদুকর
এক হাতে লাঠি, এক হাতে ছেঁড়া ছাতা
কাঁধেতে ঝোলানো ঝুলি
কন্ঠেতে সুর- 'হাঁ হাঁ হিঁ হিঁ হ্যাঁলি হ্যাঁলি হাঁ'।
মাদা-মাদি ছানা-পোনা দল বেধে
উল্লসিত বরাহ সকল-
ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে কচু ক্ষেত আর খালে-বিলে চরে।
'হাঁ হাঁ, হিঁ হিঁ, হ্যাঁলি, হ্যাঁলি, হাঁ হাঁ'
যাদুকরী সেই ডাকে-
বরাহ সকল দলে ফিরে আসে।
আমরাও সকলে দলে দলে
অদুরে- আলপথে
তাহাদের সাথে সাথে,
লাল-কালো হয়ে
গলে গলে আর ঢলে ঢলে-
আনন্দে মেতেছি কতো সুর্যের সোহাগে।
শৈশব এসেছি শৈশবে ফেলে, সে আজ বহুদুর-
তবু দেখি কানে বাজে আহা যাদুকরি সেই এক সুর,
'হাঁ হাঁ হিঁ হিঁ হ্যাঁলি হ্যাঁলি হাঁ হাঁ'!


উঁকি ঝুকি দেয়া প্রথম যৌবনে
বন্ধুরা মিলে কৌতুকে,
সেজেছিলাম যবে শিবের চেলা-
দেখেছি সেদিন আহা, অন্য এক যাদু সেকি!
-কোনো একদিন দুপুর বেলা।
সহস্র বছর অসীমের পথে চলিয়াছি বুঝি পথ-
নক্ষত্রের পথে আকাশে আকাশে,
টলমল করে ভেসে বাতাসে।
আবার দেখেছি তুলো তুলো মেঘে করে ভর
আকাশের এফোঁড় ওফোঁড়-
পৃথিবীটা ছেড়ে গিয়েছি নিমিষে,
দূর থেকে যেনো বহুদূর।


যদিও কালের ঘূর্ণাবর্তে
সময় ঘূর্ণির বেগে ধায়-
তথাপিও ন্যানো সেকেন্ডকে মনে হয়-
অন্তহীন সেই পথে,
অতি ধীর
আর মহাকাল আবেশে অক্ষয়।
এমনি করে যখন ব্রহ্মাণ্ডের পথে
নক্ষত্রদের আহ্বানে আমি ধাই,
পথের মাঝে পড়ে থাকা গোবরে দেখি-
এক বন্ধু সহযাত্রী পৃথিবীর, দাঁড়ায়ে রয়েছে ঠাঁই।


এখনও দেখি যেখানে সেখানে
চরে, বরাহ সকল-
উন্মাদনা ঘোরে,
অচেনা উন্মত্ত ভিন্ন যাদুকরী এক সুরে!
বন্ধুকে দেখি, ভাইকে দেখি, দাঁড়ানো-
পথের গোবরে।