০৬.০৯.২১


মনে পরে কবে হেমন্তে যখন- উঠে গেছে
কৃষকের গোলাঘরে থোকা থোকা কাঁচা সোনা ধান
শিশিরে ভিজে যাওয়া উতলা পরান- এমনই কোনো একদিন,
ফসল শুন্য মাঠের বাঁশঝাড় পাশে সেই মজা ডোবাটার কথা!


শুকিয়ে যাওয়া বুকে তার কিছু ফুল কিছু লতা
বিষকাটালির ফাঁকে ফাঁকে কচুরিপানার তামাটে পাতা!


বর্ষায় ভেসে বেড়ানো জোনাকিপোকার দল
যেনো নদী- সিকস্তি উদ্বাস্তু মানুষের ঢল
জুটে এসে সকলে গড়েছে নতুন আবাস।


হাজার নক্ষত্রে তার অঙ্গ সাজিয়ে সন্ধ্যায়
সুরগঙ্গা ডোবাটা করেছিলো
নিজ কালোত্বের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ!


কোথাও নাড়ার পাহারায় কচি কচি মসুরের ক্ষেত,
খেসারির ঠোঁটে ফুটে ওঠা ফুলেরা যেনো অপরাজিতা,
সন্ধ্যা তার আঁচল খুলে পেতেছে সব অন্ধকার,
বাতাসে কিছুটা আভাসিত-
রিক্ত সময়ে বরফ গলা অপেক্ষার হাহাকার।


বাতাসের সাথে কুয়াশা মেয়ের অভিসার,
বুকে ভেসে থেকে থেকে নিঃশব্দ চাওয়া তার-
জোনাক মেয়ের সাথে সবুজের শয্যা পেতে।


ঘর-গৃহস্থালি শেষে,
তুমি সেখানে এলে-
ঝিঁঝিঁপোকারা গান করলো,


কাঁটালতার বন জুড়ে আহ্লাদী-
জোনাকি মেয়েরা সকলে
হাজার বাতির আলোকসজ্জা পাতলো,


তাদের বিমুগ্ধ নৃত্যে-
কুয়াশা চুম্বনে সিক্ত হলো সবুজ কার্পেট।


শিশিরেরা ছিটালো গোলাপ জল,
মসুর আর খেঁসারি ফুল ছুঁয়ে দিলো
তোমার শরীরে আতরের গন্ধ-
বাতাস আনলো ঈষৎ কম্পনে তার মিলনের রাগ…


মনে কি পরে আজ-ও
হেমন্তের রাতে এইখানে হৃদয়ের পরে এখনও সেইসব!