১৮.০৯.২২
তাঁকে দেখিয়ে বললাম নিভৃত কোণে একদিন,
কোনো এক স্বপ্নবাড়ি।


বললেন তিনি, কোণঠাসা করে ফেলবেন বুঝি!
সব স্বপ্ন, স্বপ্ন হয় না-কি!


বলেছি, নিঝুম নিরালায় বসে, নিঃসঙ্গতা সুখে কবিতা লিখুন।


লিরিকাল, ব্যালাড, সনেট, হাইকু-রেনকু, লিমেরিক, রুবাইয়াত সব-ই।


ছন্দ আর সুর তাল লয়ে ভরে তুলুন নিঃসঙ্গতাকে।


নির্মাণ করুন নন্দনতত্ত্বে নিজের একখানা নন্দনকানন-


আপন সেই স্বর্গ বাটিতে থাকবে-না কোনো হই হুল্লোড়,
পান করুন স্বর্গ সুধা আকণ্ঠ সমুদ্দুর।


বললেন তিনি, আগুনে ঝলক টেনে হাসিতে-


আর কতো চর্বিত চর্বন, আমি তো নতুন!


চর্বিত চর্বনে বিবমিষা জাগে।


বিনির্মাণ জানেন? ডাডাবাদ, হাংরিজম, অধুনান্তিকতা?


কখনো আগুনে পথে দেখেছেন হেঁটে হেঁটে?


বজ্রপাতে আলোর ঝলক আর শব্দে
খুঁজেছেন মাত্রা-ছন্দ, তাল-লয়?


ছন্দ ধরা দেবে তার মতো করে সকল কিছুতে


খুঁজুন, খুঁজুন, খুঁজতে থাকুন-


অমৃত সে লোক ফুঁটো করে বরশিতে গেঁথে তুলুন।


অছন্দকে ছন্দে তুলে এনে
প্যাস্টিস্ট ছাড়া আনকোরা নতুন,


দেখুন না- খুঁজে!


পেয়ে গেলে জানাবেন আমাকে- সেদিন


বুকে চেপে এঁকে দিয়ে যাবো ঠোঁটে,


তৃষিত প্রেমের-
যতো অমর কবিতা।


(দার্শনিক, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক স্যারের স্মরণে- উৎসর্গিত।