***************
ঝুপ করেই হঠাৎ রাত নেমে আসে এই পাড়াগাঁয়ে
অলক্ষিতে নিঝুম হয়ে আসে পথ্ঘাট -
কোথাও কেউ যেন নেই - শুধু
একপাল জোনাকীরা দিগন্ত ছাপিয়ে বেড়ায়;


মাঝে মাঝে কোন এক অতৃপ্ত অশরীরী প্রেতাত্মার হাহাকারের
মতোই বাতাস এসে কাঁপিয়ে দিয়ে যায় আসমূদ্রহিমাচল!
রাতের পাহাড়াদার ঘুমোতে যাবার আগে একবার
শেষ ডাক ডেকে যায় -- 'কে ওখানে- কে যায়'!!


তারপর সব নিস্তব্ধ, শুধু বাতাসে ভেসে আসে
নাকি সুরে পেত্মীর মতো গলায় পূর্ণিমা'র মায়ের কান্না;
'আমার কি হবে এখন গো - কৈ যাবো আমি অরে লইয়া'


ক'দিন আগে এমনি এক রাতে একদল জানোয়ার এসে
ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেছে চতুর্দ্দশী পূর্ণিমা'র জীবন ও স্বপ্ন!!


রাতের আধাঁরে একে একে পালিয়ে যায় সীতাংশু, নীহার ও যামিনী'রা
বাপ দাদার ভিটেমাটি ফেলে- জীবন বাঁচাতে নয়-
অনূঢ়া কন্যার সম্ভ্রম বাঁচাতে -
আশেপাশে প্রতিবেশীর ছদ্মবেশে ঘাপটী মেরে থাকা
কিছু হায়েনার হাত থেকে-
                            যাদের কোন মা-বোন নেই !


পূর্ণিমা'রা আর কতদিন সইবে এই নির্যাতন,
কতশত বছর পার হলে তবে সভ্য হবে এই জনপদ?


পূর্ণিমা আর সেই কালাতীত উত্তরের অপেক্ষা করে না
ঝুমধরা আরেক রাতে সে বাড়ির উঠোনে প্রিয় শিউলি গাছের ডালে
ঝুলিয়ে দেয় নিজেকে - এই ঘৃণ্য সভ্যতা ও জনপদকে
                           বুড়ো আঙুল দেখিয়ে!!
                           হা হা হা হা হা .. !!!!!!!