*************
সব্ধ্যে গড়িয়ে গেছে কবেই
রাতের ঘড়ি ক্রমেই এগিয়ে চলেছে মধ্যরাতের দিকে
বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে অনেকক্ষণ
বাইরে একনাগাড়ে ঝিঁঝিঁর আওয়াজে বাতাস হয়েছে ভারী
হঠাৎ হঠাৎ শেয়ালের ডাকে
                   কেঁপে কেঁপে উঠ্ছে নির্জন রাতের শরীর
টেবিলে জ্বল্ছে মেদুর আলোয় কেরোসিন ল্যাম্প


ছায়া ছায়া আলোয় ভারী চশমা চোখে এক মহান জ্ঞানতাপস
খাতায় এঁকে চলেছেন রেখার পরে রেখা জ্যামিতির নানান সূত্রের-
সামনে উৎসুক তাঁর প্রিয় শিষ্য তাকিয়ে দেখছে মোটা আতশ কাঁচের
ভেতর জ্বলজ্বল করতে থাকা স্যারের দুটি তীব্র চোখ...
    
পড়া শেষ,  রাত দুটো, স্যার এগিয়ে দিয়ে আসেন
ছাত্রকে বাড়ির রাস্তায় - যদি ভয় পায় রাতের আঁধারে সন্তানসম ছেলেটি ;


এত মায়াময় কোন শিক্ষক কী জন্মেছেন কোন দেশে কোনকালেই !


সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে তাঁর অগণিত সফল ছাত্রছাত্রী
নি:শ্বঙ্ক, নির্লোভ, সত্যবাদী এই জ্ঞানতাপস শিক্ষক সারাজীবন জুড়েই
                  মানুষ গড়ার ব্রতই পালন করে গেলেন নিভৃতে
কখনই ফিরে চাইলেন না কেউ তাঁর জন্যে কিছু করলো কিনা


আমাদের সেই অতিপ্রিয় মনমোহন স্যার
                      চলে গেলেন আজ কোন এক অমৃতের দেশে


খুব অভিমান নিয়েই কি গেলেন স্যার -
                                     কেনো স্যার .....?



(মনমোহন স্যার কক্সবাজারের রামু উপজিলা সদর এর শতবর্ষীয় পুরনো বিখ্যাত হাইস্কুল রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিবেদিত প্রাণ গণিত শিক্ষক ছিলেন ; তাঁর অত্যন্ত দায়িত্বপরাযণতা স্বভাবের জন্যে তিনি ছাত্রছাত্রী শিক্ষক সবার কাছেই খুবই শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন, অনেক ছাত্রছাত্রীর জীবন তিনি গঠন করে দিয়েছেন শিক্ষার মান দিয়ে ... তাঁর বিদেহী আত্মা শান্তিতে থাকুন এই প্রার্থনা ...)