*********
গভীর চিন্তামগ্ন মুখটি করে চুপচাপ হেঁটে
জলের কিনারায় সে পৌছে গেছে ...
যেন সে জলের প্রগাঢ় বন্ধুত্বকে এক নিমিষে
অর্জন করে নেবেই;
জলের ও মায়া কম নয়,
ডাকলো সে হাতছানি দিয়েই
যে ওকে ছোঁয়ার জন্যে অনিমিষে হাত দিয়েছে বাড়িয়ে ...
জলের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে গর্বিত ম্যানহাটান শহর...
এপারে জলের কাছে কুন্ঠিত পূজারিনী আমার ছোট্ট মা'টি;
আমি ছুটে গিয়ে আমার ছোট্ট মেয়েটির পাশে বসি,
‘মাগো -জলের অত কাছে যেও না-
তুমি যে এখনো সাঁতার জানো নাগো মা..
ছয় বছরের পুতুলমেয়ে আমাকে জলের রং শেখায়,
একমাথা চুল ঝাঁকিয়ে বলে
"তোমার ভয় নেই গো বাবা; আমি নামব না’তো জলে –
শুধু একটু জলকে ছুঁয়ে দেবো,
একটু জল হাতে নেবো"
আমি আর কিছুই বলি না- শুধু অপলকে দেখি..
সূর্যের তির্যক আলোয় তিরতির করতে থাকা নদীর জল
আমার মেয়েটির হাতে এসে একপলকে অজস্র মুক্তো হয়ে
আকাশের দিগদিগন্তে ভেসে গেলো ..
জলবিন্দু কেমন করে মুক্তো হয়ে যায় –
এই পাঠ বাবাকে শেখাতে পেরে বিশ্বজয়ের আনন্দে
আমার মেয়েটি খিলখিল হাসিতে ভুবন নাড়িয়ে দেয়,
আমি অবাক চোখে দুহাত দিয়ে আমার ছোট্ট মা'কে
বুকের ভেতর টেনে নেই.... গভীর মমতায় !!