*************
মেঘে মেঘে বেলা হয়েছে অনেক
পূবের আকাশে এখন পশ্চিমেরই
লাল-সুরমা মাখা আলো খেলা করে
কতখানি এ জীবন, কত তার অর্ধেক
কেই বা জানে এই জগতে আর,
যে জানে, সে কখনো ভাঙেনি তার
                            রহস্য ভাণ্ডার ।।

পথে যেতে যেতে কত যে লতাগুল্ম-মালা
জড়িয়েছে পায়ে, কিছু তার গিয়েছে মর্মে
কিছু তার পথেই থাকে পড়ে আপন ধর্মে
কিছু তার সুখ-অসুখে গড়েছে আপন গল্প,
কিছু-বা’ দিয়েছে সাথ,কিছু বাড়িয়েছে জ্বালা
মনের গহীনে চোরাদাগ কত, স্মৃতি
                              জুড়ে অল্পস্বল্প ।।

দিনের শেষে এসে আজ গোধূলি বেলায়
বুকের ভেতরে সে কোন উদাসী ডেকে যায়
কোন সে শ্যামের বাঁশী অবিরত বাজে মনে,
কোন সে বঁধূয়া যায় আনমনে ফিরেও না চায়
বিদায়ী সূর্য ডাকে ওই –আয়, আয়, আয়
এমন বেলাহীন অবেলায় কীইবা কথা
                                আছে তার সনে !!

নীরবে, নিঃশ্বব্দে আলোছায়া মাখা মনে
অঞ্জলী হাতে দাঁড়িয়ে গঙ্গাতীরে বা দেবতার
মন্দিরে, ছিল কি গোপন কিছু পাপের ভার
মুক্তি কি মিলে কোন সঙ্গোপন বিসর্জনে
কে জানে, কে জানে আজ উত্তর তার
যে জানে, সে কখনো ভাঙেনি তার
                                রহস্য ভাণ্ডার ।।

হাত নেমে আসে জলের গভীরে,
                               ধীরে অতি ধীরে
কোথা সে কুরুক্ষেত্র, কোন অযোধ্যা তীরে
কে এনেছে এইখানে, কে বাজালো সুরধনি
মন্দ্রস্বরে উচ্চকিত সেই অমৃত মন্ত্রধ্বনি
বেজে চলে যতিহীন অদেখা প্রাণের নীড়ে
              “ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে” !!