********
অমাবস্যার রাত, ঘোর অন্ধকারে ছেয়ে আছে চরাচর
পথ চলতে পা টলমল শির শির কাঁপন বুকের ভেতর

ঘন কালো মেঘে আকাশের মুখ আরো বেশী অন্ধকার
কোন রূপবণিকা নিয়েছে দায় রাতের শরীর সাজাবার

এক পা এগোয় তো দুই পা পেছোয়, পায়ের কি দোষ
চলছি তো চলছিই, পথ ফুরোয় না - হেঁটেও দু’ক্রোশ

হাতের লণ্ঠন নিভে গেছে কবেই বাতাসের বড় জোর  
ছায়ার মতো পথ দেখা যায় কি যায় না দেব কি দৌড়

দৌড়ে আর যাবো কোথায় অন্ধকারে লতাপাতায় টান
বুকের ভেতর ছমছমানো দম কে যেন টানছে বাঁ’কান

বাঁয়ে ফিরতেই ডানে টান, হুড়মুড়িয়ে পথেই ঝপাৎঝং
পিঠের উপর কে বসেছে চেপে উরেব্বাস নয়তো কিংকং

সুরসুর করে ঠাণ্ডা কি যেন বুকের তলায় নড়েচড়ে উঠে
ও মাগো, সাপ নয়তো,  শরীর জুড়ে লক্ষ ঘোড়া ছুটে

ফিসফাস ফুসফুস কে সে ডাকে, ‘কৈ যাস এতো রাতে
আয় আয় আমার কাছে আয় কেঊ যে নাই দেখি সাথে”

আর যে কিছুই পড়ে না মনে সারারাত পথেই পড়ে থাকি
ঊষার আলোয় ঝলমলে সেজে কান খুঁটে খায় চড়ুই পাখি ।।