***************
মেঘের আঁচলখানি একটুখানি তুলে
এক আঁজলা রোদ্দুর এনে যেই দিয়েছি হাতে
কী আশ্চর্য্য, টালমাটাল তরঙ্গ এসে ভাসিয়ে দিল
বিনুদের মাছভরা পুকুর, মাধবীলতার ঝাড়,
শাপলা ফুলের গাঢ়বন –স্বর্ণলতিকার মাধুরীমাখা
বিনুর পোষ না মানা পথহীন পাহাড়চূড়া !

চোখের যে কত রকমের তীর হয়
কত রকমের খিদে, মনেরও যে কত রকমের
চোরাগলি থাকে, থাকে বাঁধ না মানা অভীপ্সা
চোখ আর মন মিলে যে কত রকমের ফন্দিফিকির
সাজায়, কত আলবোলা আলটপকা ছেলেমানুষী;
বিনুর চাপল্যমাখা দীঘল কুন্তলরাশির বন্যায় ঢাকা
হিমালয় শীর্ষ বাঁধভাঙা আকুলতায় বুঝে গেছে সবই !

ভেসে যেতে যেতে হাত বাড়িয়ে মেঘের আঁচল ধরতেই
হাস্যকর কৌতূকের অভিলাষী হুঙ্কার চারদিকে
অবশেষে বিনুর কাছেই হার মেনে মুখ নামাতেই
মেঘ নিয়ে আসে এক ঝটকা উতল হাওয়া
হাওয়ার তোড়ে হাত থেকে রোদ্দুর গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে
দিগদিগন্তে ছড়িয়ে ছড়িয়ে দেয় অমিয় লালিমা -
সেই উষ্ণতায় আলুকাবলি হয়ে হারিয়ে যায় মনস্ক চোখ
সযতনে লুকিয়ে রাখা বিনুর স্বপ্নিল গহীন বনে ।।

তোমার কথা রোদ্দুর কিন্তু ভোলেনি আজো
বিনু, তুমি কি আর বকুল ফুলের মালায়
                             সাঁঝের বেলায় সাজো ?