~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~
ছেলেটি একটু আগেই ফিরেছে ঘরে
সারাদিন গেছে অখণ্ড ব্যস্ততায়,
একটু ও ফুরসত ছিলোনা
কাজের ফাঁকে ক'বার ভেবেছিলো
বাড়ীতে আজ মেয়েটি কি একা -
আজ কি ছূটি নিয়েছে সে -
ছেলেটি ভোলেনি কিন্তু কিছুতেই সে পারেনি
ছুটি ম্যানেজ করতে - একটা টিম আসছে জাপান থেকে
সকালে কিছুই বলেনি বেরিয়ে যাবার আগে ওকে
নিয়মমাফিক মেয়েটি অন্যান্য দিনের মতই
তড়িঘড়ি বানিয়ে দিয়েছে ব্রেকফার্স্ট,
প্যাক করে দিয়েছে লাঞ্চ
তারপর একটু চোখে চোখ - চঞ্চুতে চঞ্চু ঠোকাঠুকি
অতঃপর তরতর সিঁড়ি বেয়ে গাড়ি বারান্দায়.. ।
একবার ভাবলো ছেলেটি - সে আজ যেন খুব উদাসীন
কাল রাতে খুব খিটিমিটি গেছে -
সারারাত কেঁদেছে কি সে
চোখ যেন ফোলা ফোলা ---
সে কিছুতেই বোঝে না
বুঝতে চায় না - কত দায়িত্ব তার অফিসে -- !!
মেয়েটির মন ভাল নেই-সারাক্ষণ তার মনে কেন যে
অচেনা আগুন জ্বলে,
বোঝে না সে কিচ্ছুটি আর বোঝে না--
ওর জন্যেই বাবা মাকে ছেড়ে এক কাপড়ে বেরিয়ে আসা
একি হলো এই জীবনে তার --
ছেলেটির মনে এখন শুধু কেরিয়ার কেরিয়ার
কিছু ওর মনে নেই, কিচ্ছু না, আজকের দিনটিও না !!
কোথায় উবে গেলো তার কবিতামাখা ভালোবাসা
সকাল বিকেল গোলাপছোঁয়া প্রেম !!
ছেলেটি ধুপধাপ সিঁড়ি ভাঙে -- লিফটাও আজই বিকল
হাতে দামী প্যাকেটে মোড়া একটি ডায়মণ্ডের রিং--
এই সারপ্রাইজটা দেবে বলেই
সকালে ওকে বলেনি কিছুই-
সে নিশ্চয়ই খুশীতে আটখানা হয়ে জড়িয়ে ধরে অনেকদিনের
পরে আবারও প্রথমবারের মতই চোখে হাজারটা সূর্য জ্বেলে
বলবেই --- ভালবাসি, ভালবাসি ।।
বাড়ীর ডোরবেল বেজে চলে, ছেলেটির হাতের
গিফটের প্যাকেট মাটিতে গড়ায়---
পুলিশ এসে দরজা ভাঙে --
টেবিলে আনকোরা নোট -- ভালবাসি, ভালবাসি
মেয়েটির বেতসলতা শরীর, বিয়ের জামদানি শাড়ী
উড়ছে হাওয়ায় ।।
~~~~~~~~~~~~~~~