<><><><><><>
হ্যাঁরে চিনতে কি পারলি
ওই যে বাঁশবেড়িয়ার বাসষ্টেশনের মোড়ে
ছাতাটা যাচ্ছিল উড়ে বাতাসের তোড়ে
আহা এখনও আমায় চিনতে পারলি না
হা-রে গাধা, হা করে যে তাকিয়ে রইলি ?
আমি দাদা শান্তারাম চাটুজ্জ্যে, চিনলি না
আমাকে সবাই চেনে এই তল্লাটে
তোর ছাতাটা যে ধরে দিলাম হাতে
পিপাসায় আমার যাচ্ছে ছাতি ফেটে
দে দেখি দুটো টাকা, আছে কিছু সাথে ?
কী মুশকিল, জানি না এঁকে চিনি না
বয়স হবে হয়তো সত্তরের কি আশির কোঠায়
আনমনে পকেটে হাত চলে যায়
নিজেকে কেন যেন আটকাতে পারিনা
পাঁচটাকার একটি নোট উঠে আসে হাতে ।
ছোঁ মেরে নিলেন হাতে নোটখানি
হাতে ধরে টেনে নিয়ে গেলেন দোকানে
হাঁক ছেড়ে চাইলেন চা’দুজনেরই জন্যে
তারপর কাঁধের পরে রেখে হাতখানি
বল্লেন অনায়াসে, একটু থাকতে দিবি রাতে ?
এই তল্লাটে আমিও থাকি অনেকবছর
দেখিনি কোনদিন তাঁরে, দারিদ্র্যের ছাপ
সুস্পষ্ট পোশাকে, চোখেমুখে দীর্ণশীর্ণ ভাব
কণ্ঠে যেন ভর করে আছে বাদশা আকবর
রাতের আশ্রয় দিতেই হলো, এলেন ঠিক সাথে ।
সারারাত ধরে বল্লেন তাঁর না বলা অশ্রুত কাহিনী
ভোরে উঠেই গেলেন চলে
কাউকেই কিছু না বলে
চল্লিশ বছর ফেরারী-বিপ্লবী; এ’ তল্লাটের দাদাই তিনি !!
<><><><><><><><><><><>