<ঁ><ঁ>!!<ঁ>!!<ঁ><ঁ>
কত অযুত নিযুত নক্ষত্রের
পথ পাড়ি দিয়ে
কত পাহাড় পর্ব্বত
আসমূদ্রহিমাচল পাড়ি দিয়ে
এসেছি আজ তোমারই কাছে –
পথে পথে কত কণ্টকাকীর্ণ
চড়াই উৎরাই; - পার হয়েই
এলাম অবশেষে তোমার কাছেই ।
হাতটি বাড়াও এবার –
একটু তো দাও ধরতে -
এত যে পথ পেরিয়ে শ্রান্ত হয়েছি – নিমেষেই
জুড়াবে শরীর অমল প্রশান্তিতে –
যদি ওই হাতখানি
রাখো এই হাতেই –।
অনন্তঃ বিষাদে ভরেছে যে সারাটি জীবন –
বইতে পারি না আর –
এ গভীর দুঃখের ভার
কেউ বলে, ‘দুঃখই
জীবনের সুধা সারাৎসার’
কেউ বলে, ‘সুখ সত্য নয়,
দুঃখই দেবে মহৎ সম্ভার আমরণ’
কেউ বলে, ‘দুঃখ কই –
ও’তো শুধু ভাবেরই অন্যদ্বার’
ভালোবাসো তুমি ছাই-দু;খবিলাসী হয়ে বাঁচার’ ।
যে সয়েছে সারাটি জীবন
অসহনীয় দুঃখের দংশন
সে শুধু জানে মনে মনে
কী অসহ যাপন প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
নিত্য শরশয্যা পরে কেটেছে জীবন যার ।
তোমার ওই পুস্পিত হাত একটিবার ছুঁতে দাও
হে আনন্দ, হে অমৃত –
এই দুঃখরাঙা হাতখানি একটু হাতে নাও ।।
<ঁ><ঁ>!!<ঁ>!!<ঁ><ঁ>