এক নজর দেখেই
মুখটাকে ঘুরিয়ে ঘোমটার আড়াল দিলেই
ভেবেছো তোমায় আমি আর চিনতে পারবো না
আমি তো জানি কখনো আমাকে
                              তুমি ভোলোনি অঞ্জনা  

কত যে তীরে পূর্ণ ছিলো আমার চোখের তূণ
সে কথা একদিন তুমিইতো বলেছিলে হাস্যোচ্ছলে
আজ এই অবেলায় এসে ভেবেছ কি সেই তীরের
আর শাণিত ফলা নেই –হারিয়েছে
                         তার লক্ষ্যভেদী গুণ

তোমাকেই বিঁধেছিল আমার নয়নের তীর
তারপর সেই তূণ আমি রেখেছি তুলে নিভৃতে নিবিড়
কোথায় কোন দ্রাক্ষাবনে হঠাৎ লেগেছে মহাকালের আগুন
আমার ফেরার অপেক্ষায় তুমি ছিলে না
                               জেনেও জ্বলেছি শতগুণ

আজ কেনো মিছে আঁচলে ঢাকো মুখ
ছাইভস্মে মিশে থাকা আমি এক বিবাগী পরান্মুখ
কে কারে কাছে টানে কে কারে ঠেলে দূরে এ জগৎ সংসারে
‘নিয়তি কেনঃ বাধ্যতে’ – সেই নিয়তিরে
                                কে কখন খণ্ডাতে পারে ।।


               ~~~~~~<।।>~~~~~~