~~~~<<<•••>>>~~~~


আমার ষোলতম জন্মদিনের পার্টি শেষ হয়ে গেলে
শুতে যাবার ঠিক আগেই আমার বাবা মা জানান
তাঁরা আমার পালক পিতামাতা- আমি দত্তক সন্তান
একনিমেষে আমার পায়ের নীচে মাটি উঠলো দুলে !

জন্মের একঘন্টার মধ্যেই আমার জন্মদাত্রী মা
ফেলে রেখে গেছে স্বেদরক্তের পুত্তলী আমাকে
ডাস্টবিনের ময়লায়; কেউ দেখেনি, কেউ জানেনা
অমৃতের সন্তান কার কোন পাপে পড়ে থাকে পাঁকে !

দিন পেরিয়ে গেলে ক্ষুধার্ত শিশুর চিৎকার তারস্বরে
সেই আওয়াজেই অবাক পথিক নিলেন কোলে তুলে
গভীর মমতায়, দিলেন নতুন জীবন এক অবাঞ্ছিতরে
সেই আমার পালক পিতা মাতা বললেন সব খুলে !

বিবেকের তাড়নায় জন্মসত্য করে উন্মোচন অকস্মাৎ
ভারশূন্য হতে চেয়ে সত্যাচারী দম্পতি নিমেষে হয়ে যান
আমার পালক পিতা মাতা, এ কেমন বেদনার অভিঘাত
সে আমিই জানি, কষ্টের নীলে তাঁরাও নির্বাক, নিস্প্রাণ !

বেদনার বিষে পুড়ে যেতে যেতে সারাক্ষণ ভাবি আনমনে
আমার সেই মায়ের কথা, কেনো জঠরে রেখে দশটি মাস
ফেলে গেলে মাগো কী নিষ্ঠুরতায় ময়লার মতো ডাস্টবিনে
আর কিছু নয় মাগো এক নজর শুধু তোমায় দেখার অভিলাষ

মা দিবসে আজ আমি খুঁজে ফিরি পথে পথে তোমাকেই মা
শুধু একবার বলো - কী আমার অপরাধ, মা বলে ডাকার
            অধিকারটুকুও কেনো তুমি আমাকে দিলে না ।।  
      
       ~~~~<<<•••>>>~~~~


[দ্রঃ নিউইয়র্কের কুইন্সে ত্রিশোত্তর বয়সী জেসি ওয়াল্টার হেগ আকুল হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর জন্মদাত্রী মা’কে সেই ষোলতম জন্মদিনের পর থেকেই – আজো খুঁজে পাননি, কিন্তু আশায় বুক বেঁধে তিনি খুঁজে চলেছেন তাঁর পাষানী মা’কে – যিনি তাঁকে জন্মের পরপরই ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন ।
তাঁর গভীর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি এই কবিতা - এবারের মা-দিবসে তাঁকেই উৎসর্গ করলাম,
সেই সাথে স্মরণ করছি সারা বিশ্বজুড়ে এমনই অসংখ্য হতভাগ্য পরিত্যক্ত শিশুদের যারা নিজের জন্মদাত্রী মা’কে একবার মা বলে ডাকার সুযোগটুকুও কখনো পাননি ]


     ~~~~<<<<•••>>>>~~~~