*********


বাড়ীর সিংহদ্বারে ঝলমলে
                            কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে
দাঁড়িয়ে আছে অপরাহ্নের নিঃসঙ্গ রোদটুকু
যাই যাই করেও থমকে আছে
                             জানলার আর্শি ছুঁয়ে
বাতাসে মেলে দিয়ে শরীরের উতল সুঘ্রাণ
মেঘে মেঘে মদির ঝঙ্কার ভাঙ্গাবে কার মান
ফুলভারে কৃষ্ণচূড়া অজানিতে
                               নেমে আসে নুয়ে
ললিত লালের স্বপ্নাভাসে বিহঙ্গ আঁকুপাঁকু
কী অমল মায়ার বশে মাটি
                          জুড়ে পড়ে থাকা মিছে ।।


যাই বলে ফিরে আসা কত-
                           কতবার ঘটে গেছে
পথের ধূলার মায়ায় স্তব্ধ চলার গতি
ঘাসে ঘাসে শিশিরের মতো
                        প্রশান্তির তৃপ্তিটুকু রেখে
আঁধারে জোনাকীর মতো  মিশে থাকা প্রাণ
ছায়াময় দীঘিজলে চৈত্রের বেদনা যেমন ম্লান
গভীর নিশীথে কোন রাতের পাখি
                       ক্লান্ত নিঃস্ব ডেকে ডেকে
বুকের গহীনে ছড়ায় মোহন আনন্দ রতি
এই পৃথিবীর হাওয়ার সুবাসে
                        স্বপ্নেরা থাকুক বেঁচে ।।


সুখের স্বপ্নে ডুবে কৃষ্ণচূড়ার রঙের
                             আবেশে আনন্দময়
ফিরে আসার ভালো লাগায়
                          উদ্ভাসিত এটুকু সময় ।।


[ বিগত একমাস আসর থেকে দূরে থাকতে হয়েছে নেহাৎ গুরুদায়িত্বের গুরুভারে, কবিতাহীন সময় যে কী বন্ধ্যা সময় তা’ শুধু কবিতাপ্রেমীই জানে; এই ক’দিনের অনুপস্থিতিতে কারো কবিতাই পড়ারও সুযোগ হয়নি, না পড়া কবিতা গুলো সব পড়তে হবে ; ফিরে এসে দেখি, আমার খোঁজে আসরের প্রিয়ভাজন কয়েকজন মহাপ্রাণ কবি ভাই সৈকত, আশিকুর, তাজুল ও বোন সৌমিতা আকুল হয়ে মন্তব্য রেখে গেছেন ‘সাদা থান’ কবিতায়, তাঁদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আজকের এই ফিরে আসার কবিতাটি ওদেরই কোমল হৃদয়ের প্রতি নিবেদন করলাম সুগভীর মমতায়- প্রার্থনা করি ওদের মমতাময় হৃদয় লাখো মানুষের অন্তরকে ছূঁয়ে যাক ]