কাঁসর ঘণ্টা ধূপ ধূনোর তুমুল আবহে অপার
লুটিয়ে গড়িয়ে কাঁদো ছড়িয়ে দু’হাত
শ্বেতপাথরের গোপাল ঠাকুর সুস্থির নির্বাক
চরণে তাঁর মিঠামণ্ডাই প্রসাদের পাহাড়


বদ্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে শীর্ণ দু’হাত পাতে
জীবন্ত গোপাল - কঙ্কালসার ছিন্নবসন ক্ষুধার্ত
দূর দূর করে তাড়িয়ে দাও মাছি তাড়ানোর মতো
একমুঠো ভাত তার জন্যে উঠে না তোমার হাতে


একবার শুধু ভাবো আপন মনে –
এরা যদি হতো আজ তোমারই সন্তান
দুয়ারে দুয়ারে যেতো উদরের সংস্থানে
এমন দৃশ্যে বুক ভেঙে হত কি খান খান !


তোমার ভেতরে ঘুমিয়ে যে আছে মানুষ দেবতা
বিবেকের ঘায়ে জাগাও তাহারে এবার
চোখে মেখে রেখে প্রাণের অসীম মমতা
নাও হাতে তুলে কোনো শিশু গোপালের
                                    পালনের ভার ।।