-----------------------


দু’চোখে দূর্মর সব আকাঙ্খা জ্বেলে
গভীর রাতের বুকে রতিক্রান্ত কামুকের মত
শব্দের গায়ে শব্দ গেঁথে দেয়া – ;
তুমি যে কেনো তাকে
কবিতা লেখা বলো অবলীলায় ।


আমি কিন্তু জানি –
আমি কোন কবিতা লিখিনা
আমি কিছু অধরা স্বপ্ন লিখি,
কিছু অসহ্য বেদনা কখনো-
কিছু সুশ্রষাও লিখি প্রাচীন কবিরাজের মত ।
কখনো বৃক্ষপত্র, কখনো পুস্পদল,
কখনো আরশোলার নাভি,
কখনো কচ্ছপের না’ফোটা ডিম
কখনো চন্দনের নরোম সুবাস
কখনো রমনীয় হাসি, বাঁধভাঙা অশ্রুজল,
সমূদ্রতল হতে আনা কোন দুস্প্রাপ্য গুল্মদল
অতঃপর একশো আট দহনে পুড়ে
আমি সাজিয়ে দেই
খিন্নছিন্ন খাতার পাতায় ।


আমি নিশ্চিত কিছু বুভুক্ষু মানুষের কথা লিখি
আমি বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘুর কথা লিখি
আমি পঁচে যাওয়া রাজনীতি বদলের কথা লিখি
আমি দূর্গন্ধময় অসৎ রাজনীতিকদের খতমের
                     কথাও লিখি কখনো কখনো ।
আমি এই বাজার সর্ব্বস্ব সমাজবদলের কথা লিখি
আমি মানুষের কাছে মমতা ও মানবিক
                    আবেদনের কথাও লিখি প্রয়োজনে ।
কিন্তু আমি তো কোন কবিতা লিখি না –
লিখি মানুষের বেদনা ও স্বপ্নের কথা ।


চেতনার শরীরে থাকা সঙ্গোপন ক্ষত
রক্তস্রোত যেভাবে বয়ে যায় অবিরত
জীবনের চোরাগলিপথে সে এক নীলাঞ্জনা
আমি কিন্তু কখনো কবিতা লিখি না ।


              **--০--**