----------------------


দূর দিগন্তের দিকে উন্মনা, উদাস চোখে
কী যে দেখো চেয়ে, বুঝি না ।


হাজার বছরের কোন সে প্রত্নগুহা হতে
হঠাৎ ওঠো জেগে, উছল কাব্যললনা !


সীসাধরা গলায় ধাতব স্বরে অকস্মাৎ
দুর্বোধ্য কথকতা, প্রগাঢ় শব্দঝর্ণা !


হাতের মায়ায় সে কী শ্যাওলা জড়িয়ে আছে
প্রাচীন বৃক্ষের মতো, লজ্জাকীর্ণ সপ্তবর্ণা !


অনাদি রমণী তুমি,  কার প্রতীক্ষা তোমার
কোন বনছায়ে কার পদছাপ, জানো না !


তিতির পাখির মতো সঘন বিহার প্রীতি
আকাশপারে মেঘের ঘনঘটা, বোঝ না ।


তোমার শরীর চুঁইয়ে জ্যোৎস্নাজলের ধারা
সে জলে ভেসে যাই, ওহে নীলাঞ্জনা ।


মেঘের কাছে পরম রোদ্দুর গোপনে গচ্ছিত
বনহংস হয়ে এলে ফিরে, ফিরিয়ে দিও না !