আমি কখনোই নিশ্চিন্ত ছিলামনা,
ছিলামনা যে স্রোত বয়ে চলেছে তা বিপরীতমুখি হবে না, আশ্বস্ততায়।
আমার ধৈর্য্য ছিলনা, আমি বাধ্য হতাম।
আমার চাহিদাগুলো অভ্যস্ত ছিল, মৌনতাই লোভনীয়।
আমি প্রয়োজন অনুভব করিনি পুরনো জুতো কালি করার, দিনে দুবার পোষাক বদলাবার।
অথবা রোদে জ্বলা শার্ট ফেলে দেয়ার।
আমি তৃষ্ণার্ত ছিলামনা চাকচিক্যতার।
আমাকে বারংবার একই প্রশ্ন করা হয়েছে,
"তুমি কোন জগতের মানুষ"?
আমি আদৌ তাতে বিরক্ত হইনি,
আমাকে শুধু মাথা থেকে ধুলোগুলো ঝেড়ে ফেলতে হয়েছে।
সবারই দিন বদলায়,
কারো শেষ বিকেলের হাতে হাত, কারো চোখে চোখে পূর্ণি রাত।
আমি শুধু মাঝে সাঝে গোধুলীতেই মজতাম।
অবশেষে বাধ্য হয়েছিলাম বিশ্বাস করতে,
"তুমি মেয়ে মানুষের মন বোঝনা"।
আমার বন্ধুরা খুব হুশিয়ার,
তাদের চোখ বাতাসের অনুকেও প্রতক্ষ করে ছাড়তো।
আমি নিশ্চিন্ত ছিলামনা, আমার দরিদ্র সুখের পরিবর্তন হবেনা।
তবুও আশ্বস্ত নই যদিও আমাকে আজও লোকের পিছনেই ছুটতে হয়।
অসন্তুষ্ট না হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারিনি।
বন্ধুরা এখন দামি চেয়ারে বসে।
আমি এখন পর্যন্ত উদ্দেশ্যহীন, অগোছালো নিয়মতান্ত্রিক,
সন্তুষ্ট সর্বদাই
কোন অফিসের স্টাফ।