ঃ কিছু বলছেননা যে, আমি কি একাই বলে যাব?
ঃ চোখের ভাষা বুঝি বোঝেননা?
ঃ বুঝি বৈ
ঃ তবে সায় দিতে বুঝি মানা?
ঃ সব ব্যাপারেই কি সায় দিতে আছে?
ঃ আপনি খুব নিষ্ঠুর করে বলেন,
ঃ হয়তবা, তবে নিষ্ঠুরতার আড়ালেও কিছু রয়,
ঃ কি রয়?
ঃ দু-কাপ কফি,
ঃ মানে?
ঃ হু দু-কাপ কফি, চলুন কফি খাই,
ঃ আপনি একটা পাগল,
ঃ লাগিয়ে কথা বলবেননা, মায়া পড়ে গেলে কিন্তু সহজে আর তাড়াতে পারবেননা,
ঃ আমি কি বলেছি ক্ষন আপনাকে তাড়িয়ে দেব?
ঃ দিতেওতো পারেন,
ঃ উহু, এ জীবন থাকতে না,
ঃ তাই বুঝি?
ঃ হু, আর এভাবে বুঝি কেউ রাস্তা পার হয়? যদি কিছু হয়ে যেত আপনার? তখন আমার..…..
ঃ তখন আমার কি?
ঃ না কিছুনা,
ঃ আচ্ছা কিছু হলে হত বৈকি, আপনিতো ছিলেন,
ঃ হা আমি ছিলাম, আর থাকলেই বুঝি এভাবে পথ চলবেন? একজন মেয়ে কতটুকু সামাল দিতে পারে?
ঃ না হয় মরেই যেতাম?
ঃ যাহ! এভাবে বলবেননা, খুব লাগে,
ঃ তাই?
ঃ হু,
ঃ আজ আপনার জন্মদিন,
ঃ হ্যা, জানা আছে দেখছি,
ঃ এই উপহারটা আপনার জন্য, হাতটা একদমই খালি, ভেবে ছিলাম..…
ঃ থাক,
ঃ আপাতত এই ছোট্ট রিংটা, গ্রহন করবেন কি?
ঃ এভাবে কেন বলছেন! কেন টাকাগুলো খরচ করলেন? আপনি ই তো আমার জন্যে সবচেয়ে বড় উপহার,
ঃ একটু কষ্ট করে আংটিটা আঙ্গুল থেকে ছাড়িয়ে নেবেন,
ঃ মানে?
ঃ খুলেই দেখুন,
ঃ ওমা একি! এতো আস্ত কাটা আঙ্গুল একটা, এখনো রক্ত ঝড়ে পড়ছে,
ঃ আসলে আঙ্গটিটা কিনে অনামিকায় পড়েছিলাম দেখার জন্য, পরে আর খুলতে পারিনি অনেক চেষ্টা করেও,
ঃ কি বলছ তুমি এসব?
ঃ হ্যা উপায় না পেয়ে, আপনার অজান্তেই এই টেবিলটির নিচেই আঙ্গুলটিসহ কেটে দিলাম,
ঃ দেখি দেখি আপনার হাত?
ঃ ভয় পাবেননাতো?
ঃ আপনি হাত দেখান?
ঃ ওহ মাই গড, কি তাজা রক্ত ঝড়ছে, এ কেমন ভালবাসা আপনি দেখালেন বলুনতো?
ঃ কি করব বলেন, আপনাকে যে উপহারটা যে করেই হোক দিতে হবে, তবে আপনার তুমি ডাকটা সবসময় শুনতে চাই,
ঃ তুমি সত্যি সত্যি একটা পাগল, উফ কি রক্ত ঝড়ছে, এই ওয়েটার..…