ভাঙা ভাঙা চাঁদের আলোয় মধ্যরাত পেরিয়ে যায়
ভেজা চোখে ইতিহাস লেখে প্রতি রাত ...
প্রতিবাদ প্রতিরোধ শোনে না পাষণ্ড পুরুষ
শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যায় ভালোবাসার ঋণ!


এক বিছানায় চেনা মানুষকে কেমন অচেনা লাগে
মাতাল লম্পট স্বামীর হাতে সঁপে দিতে হয় নারী সত্ত্বা
প্রতিটি রাতে লেখা হয় উপন্যাসের শেষ অধ্যায়
ভালোবাসা নাকি ধর্ষণ বুঝতে পারে না অবলা নারী!


রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেও কোন লাভ নেই
নারী শরীরে অনুপ্রবেশ করে দুঃসময় ...
জীবনের মানে খুঁজতে খুঁজতে ভোর হয়ে যায়
চেনা রোদ্দুরের ছায়া এসে পড়ে নিদ্রাহীন ক্লান্ত শরীরে!


অভিমানী মন কেঁদে ওঠে নীরব নিঃসঙ্গতায় –
ক্রমশ শরীর অনুভব করে অন্য শরীরের অস্তিত্ব
গর্ভবতী শরীরে জেগে উঠছে নতুন স্বপ্নের গান
আধখানা চাঁদের দিকে তাকিয়েই কখন সে ঘুমিয়ে পড়ে!


         *******