বেহুলা লখিন্দর
***********


কলার মান্দাসে ভেসে যায় বেহুলা লখিন্দর
তারা দেখেছিল বাঁচার ঠিকানা স্বর্গের বন্দর।


সপ্তডিঙা ডুবে গেছে ঐ সাগরের জলে
চাঁদ সদাগর ফিরে পেয়েছিল  তাঁরই পুণ্যের ফলে।


কাল নাগিনীর দংশনে লখিন্দর হারায় প্রাণ
বাবা মহাদেব প্রসন্ন হয়ে করেন প্রাণ দান।


স্বর্গে লখিন্দরের জীবন ফেরান বেহুলা সতী
পুণ্যবতী সতী নারীর একমাত্র আপন হল পতি।


বেহুলারা আজও মান্দাসে ভাসায় ভেলা
পৃথিবীতে নারীরা সৃষ্টি প্রলয়ের দেখায় খেলা।


                  ********


রচনাকাল  -  ২৬\০৪\২০২০
অক্ষয় তৃতীয়া - ১৩ই বৈশাখ ১৪২৭


***********
রামের বনবাস
***********


রাজা দশরথের চারটি ছেলে ছিলেন মহা সুখে
কৈকেয়ীর কুটীল বুদ্ধিতে অযোধ্যা কাঁদলো দুখে।


রাম লক্ষণ গেলেন বনে সাথে দেবী সীতা
দশরথ হলেন শয্যাশায়ী রামের যিনি পিতা।


চোদ্দ বছর বনবাস নয়তো সহজ কথা
মরণ হলো দশরথের পেয়েছেন হৃদয়ে ব্যথা।


লক্ষ্মণকে পেলেন দেখা শূর্পণখা নাম
রাবণেরই সহোদরা থাকেন লঙ্কা ধাম।


প্রেম নিবেদন করতেই লক্ষণ নিলেন কেটে নাক
ক্রুদ্ধ রাবণ সীতাকে হরণ সুযোগ বুঝেই ফাঁক।


অশোক কাননে কাঁদেন সীতা যেথায় আছেন বন্দি
রাবণের সাথে রামের যুদ্ধে বিভীষণ দেন ফন্দি।


সীতা উদ্ধার রাবণ বধে রামের হল জয়
অযোধ্যা হল উৎসব মুখর প্রজাদের কাটলো ভয়।


                *********


রচনাকাল  -  ২৬\০৪\২০২০
অক্ষয় তৃতীয়া - ১৩ই বৈশাখ ১৪২৭


******************
কবিতা  - রাধা কৃষ্ণের লীলা
******************


খিড়কি দুয়ার খুলতে এসে
থমকে গেল রাই
কোথায় আছে শ্যামের বাঁশি
কোথায় তাকে পাই।


শ্যাম বিহনে কাটে না সময়
খুঁজছে শ্যামের বাঁশি
ফাগুন সময় যায় পেরিয়ে
বোলো না কখনো আসি।


শ্যামের বাঁশি বাজে সবাই
মধুর মোহন সুরে
রাধা শ্যামকে বলছে ডেকে
আর থেকো না দূরে।


বিশ্ব ভুবন জানে সবাই
রাধা কৃষ্ণের লীলা
যমুনার জল থমকে দাঁড়িয়ে
দেখে কৃষ্ণের খেলা।


বিরহী রাধা শ্যাম বিহনে
ফেলে চোখের জল
কলসি কাঁখে জল আনবার
করে নানান ছল।


      ********


রচনাকাল  -  ২৬\০৪\২০২০
অক্ষয় তৃতীয়া - ১৩ই বৈশাখ ১৪২৭