কবিতা - মহালয়া
************
পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের সূচনা
মহালয়ার পুণ্য তিথিতে আজ মা দুর্গার আবাহন
গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়েছে পিতৃপুরুষ তর্পণ।
শিউলি প্রভাতে রেডিওতে শোনা যায় মহালয়ার অনুষ্ঠান
সুমধুর কণ্ঠ ধ্বনিতে জেগে ওঠে ভোরের আকাশ বাতাস
মহালয়ার পুণ্য লগ্নে অশুভ শক্তির বিনাসে শুরু হয় দেবীর আরাধনা।
মর্তে আসছেন মা দুর্গা তাঁর সন্তানদের নিয়ে
আগমনী গানে মুখোরিত হয় সারাটা ভুবন
অশুভ শক্তির বিনাস করে মানুষের কল্যাণে মায়ের মর্তে আগমন।
দিগন্ত জুড়ে হাওয়ায় খেলা করে কাশফুলের দল
শরৎ উৎসবে শিউলি ফুল সুগন্ধ ছড়ায় দিকে দিকে
মহালয়ার ভোরে মানুষ খুশিতে উদ্বেল হয়ে ওঠে।
সারা বছরের দুঃখ কষ্টে অসহায় মানুষ পায় মুক্তির সন্ধান
মা দুর্গার পদধ্বনিতে হৃদয় জুড়ে অচিন সুখের ছোঁয়া
তোমার আশিসে সব্বার জীবন কাটুক এক অনাবিল আনন্দে।
*******
রচনাকাল – ১৭/০৯/২০২০
বাংলা – ৩১শে ভাদ্র ১৪২৭ ((মহালয়ার ভোর))
কবিতা – বিশ্বকর্মা
************
যন্ত্রের ধার কমে যাচ্ছে বিশ্বকর্মা
কল কারখনায় আর বাজে না সাইরেনের বাঁশি
তোমার এমন করুণ দশা কেন প্রভু!
তোমার দয়াতেই লক্ষ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা
আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে শিল্প ব্যবসা বাণিজ্য ...
দুটো হাতই যাদের ভরসা তারাই আজ অচল।
টাইটানিক জাহাজের মত ডুবতে বসেছে সমস্ত শিল্প
গভীর রাত্তিরেও নিদ্রাহীন জেগে থাকে দুটো চোখ
অবাধ্য অশ্রু চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসে অজান্তে।
রাতের অন্ধকারে শোনা যায় ঝিঁঝিঁ পোকার কোলাহল
জ্যান্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছে অসহায় মানুষ
প্রভু দেখাও তোমার অপার মহিমা ...
সাইরেনের বাঁশিতে মুখোরিত হোক আকাশ বাতাস
কল কারখানাগুলো আবার জেগে উঠুক আগের মত
হাসিতে খুশিতে ভরে যাক কোটি কোটি মেহনতি মানুষের হৃদয়।
*********
রচনাকাল – ১৭/০৯/২০২০
বাংলা – ৩১শে ভাদ্র ১৪২৭ ((বিশ্বকর্মা পুজোর ভোর))