তোমার নাভির ঠিক নীচে
যে তিলটা আছে
ঠিক আগের মতোই কি
জ্বলজ্বল করে?
আমার হাসি পায় –
তুমি ইচ্ছে করেই শাড়ি পরতে
শালোয়ার কামিজ পরতে না
সবাই তোমার তিলটা দেখতে পায়
সে জন্যেই ...


তুমি ইচ্ছে করে
নাভি বের করে রাখতে
পলাশ শিমুলের মতো
উজ্জ্বল লাল ঠোঁটে
ভালোবাসার আবির ছড়িয়ে বলতে
সবাইকে পাগল করে দেবো -


তোমার মনে আছে,
একবার কলেজ থেকে ফেরার পথে
এক আবগারী কর্মী তোমার নাভির দিকে
হাঁ করে বিশ্রী ভাবে তাকিয়ে ছিলো
তুমি মেরেছিলে সপাটে এক চড়
বলেছিলে, আমাকে কী মাতাল মনে হয়?
হতবাক বাবুটি কিছু বলার আগেই
হো হো করে সবাই হেসে ছিলাম...


জানি, তোমার নাভির সেই তেজে
আর কেউ সাড়া দেয় না
তুমি এখন সাদা থান পরো
মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে
তোমার মন থেকে
সব রঙ মুছে গেছে
কাছের আত্মীয়রা বলেছিল -
আবার নতুন করে জীবন শুরু কর
আবার নতুন করে বাঁচা ...
ভাবতে ভাবতেই চোখে নামে জল


একমাত্র ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে
ভুলে যায় সব কিছু -
ভালোবেসে বিয়ে করেছিল দাদার বন্ধুকে
ভাল চাকুরে, সুখের সংসার
জীবন সাগরে ভাসছে সুখের ভেলা
হঠাৎ মারণ রোগে ধরলো ভালোবাসা
এক নিমেষে ডুবে গেল তরী
বুকে তখন দুধের শিশু হাসে
ভালোবাসা হলো যে খান খান ...


নাভির নীচে তিলটা ভীষণ খারাপ
এখন সেটা খুব যে মনে হয়
না হয় তুমি পরলে রঙিন শাড়ি
সাদা থানে মানিয়ে গেছে বেশ
ভোরের পুব আকাশ হয়েছে লাল
ছেলে তোমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে
ভবিষ্যৎ হাতছানি দিয়ে ডাকে ...
        
         ******