ভাঙা চশমাটা আর কিছুতেই সারানো হচ্ছে না
চোখের পাওয়ারও বেশ বেড়ে গেছে -
চশমাতেও লেখাগুলো ঝাপসা লাগে প্রস্তর যুগের মত
আজ নয় কাল নয় করে করে আর যাওয়া হয় না।


রোজগেরে ছেলেদের সময় নেই বুড়ো বাপটার জন্যে
এ ওকে বলে তো ও ওকে বলে ...
চলছে এ ভাবেই একে অপরকে দোষ দিয়েই
শরীরটাও মাঝে মধ্যে বাগড়া দিচ্ছে।


শীত বাড়ছে, বয়স্ক লোকেদের সমস্যাও বেশী
ছোট্ট একটা স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে এক বৃদ্ধের নিঃসঙ্গ পাণ্ডুলিপি
স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠছে যৌবনের খুশির দিন
ভালোবাসা দিয়ে ঘেরা এক সুখী পরিবারের উৎসব।


ভাঙা চশমা দিয়ে দূরের আকাশটা দেখতে চায়
ধূসর গোধূলির রঙ সারা আকাশ জুড়ে -
নিজের সন্তানদেরও আজ ভাল করে চিনতে পারে না
গলার শব্দ শুনে বুঝে নেয় তার রক্তের গন্ধ।


    ******


রচনাকাল – ০৭/১২/২০২০