তোমার নিঃশব্দ আসা যাওয়া অনুভব করি প্রতিনিয়ত
খোলা চিঠির মত তোমাকে আপন ভাবি –
নিঃশ্বাসের ঘ্রাণে চঞ্চল হয় জলপ্রপাতের শব্দ।


অগোছালো শাড়িতেও তুমি হয়ে উঠেছ নারী
তুমি এখনও রপ্ত করতে পারো নি শাড়ির ভাঁজ
অন্তহীন নীরবতা তোমার দুটি আয়ত চোখে।


ফাগুন বেলায় শরীরের উত্তাপ শুষে নিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া
দিশেহারা নাবিকের মত অপলক চেয়ে থাকি –
নীল সমুদ্রের জলে দেখি তোমার উচাটন অবয়ব।


চিলেকোঠা বেয়ে নেমে গেছে শীতের মরা বিকেলের রোদ্দুর
ওষ্ঠের উত্তাপে পুড়ে যায় ছলনাময় পুরুষ নদী –
বসন্তের কোকিলের কুহু কুহু রবে অভিমান ভাঙছে এক কিশোরীর।


জ্যোৎস্নার রঙ মেখে হাসছে এক কিশোরী নারী
পুরুষ নদীর জলে স্নান করছে ঘরে ফিরছে কুমারীর দল
জল তরঙ্গের ধ্বনিতে মিশে যায় নারী পুরুষের সঙ্গম।


     ********* 


রচনাকাল – ০৬/০৩/২০২১