সাত পুরুষের ভিটে গিলে নিয়েছে নদী গর্ভ
নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে গ্রাস করেছে সর্বস্ব
চোখের জল আর নদীর জল মিলেমিশে একাকার।
কান্নার মূল্য বোঝেনি স্রোতস্বিনী নদী ...
সাত পুরুষের ভিটের দিকে তাকিয়ে থাকি
যতদূর চোখ যায অনন্ত জলরাশি ...
তবুও মাটি আঁকড়ে নদীর পাড়ে কুঁড়ে বানিয়ে আছি
যাব কোথায়? মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ –
যদি ফিরে পাই কোন একদিন স্বপ্নের ভিটে!
আবার বানাবো বাপ ঠাকুরদার শেখানো মন্ত্রে
নদীর জলের ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে
হৃদয়ে জন্ম নেয় এক নতুন ছন্দ ...
অনেকেই চলে গেছে ভিটেমাটি ছেড়ে
পারিনি যেতে সাত পুরুষের অধিকার ছেড়ে
নদী ডাকে আয় কাছে আয় ...
মৃত্যুকে রেখেছি বাজি প্রতি মুহূর্তে
নদীর বুকে নৌকো ভাসিয়ে খুঁজে বেড়াই
সাত পুরুষের ধন জন্ম ভিটে!
*******