পচন ধরে গেছে মানব শরীরের আনাচে কানাচে
বিভাবরী রাগের মূর্ছনা ছিল ওষ্ঠের অলিন্দে -
কাব্যের উঠোনে এখন একাদশীর মৃন্ময়ী চাঁদ
তবুও আলো আঁধারি জ্যোৎস্নায় পচনটা খুব বেশি চোখে পড়ে।


নির্বাক চলচ্চিত্রের মতো মানুষ হাত পা মুখ নাড়ছে
কিন্তু কোনো কথা শোনা যাচ্ছে না অথচ সবটাই বোঝা যাচ্ছে
ঔষধে কাজ হয় না একবার পচন ধরে গেলে -
ঈশ্বরের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে শাপমোচন হবে মানুষের।


সৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে ঈশ্বরের অপার খেলায়
এই পৃথিবী ফিরবে আবার সুখের জীবন নিয়ে
চৈত্রের চাঁদে গ্রহণের ছায়া লেগেছে এই মাঝ রাত্তিরে -
মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন অসহায় চাঁদের মতো।


পচন থেকে মুক্তি পেলেই কী মানুষের শাপমোচন হবে
ধূসর ক্যানভাসে সবুজ শুকিয়ে যায় অভিশপ্ত বাতাসের পোড়া গন্ধে
সুখের ভাষায় ক্লান্তির ছাপ ফেলে চলে যায় মায়াবী স্মৃতি
ঘাসের বুকে ভোরের শিশির ভেজা রোদ্দুর একটু হলেও মুক্তির স্বাদ দেয়।।


            ********


রচনাকাল - ২৫/০৩/২০২১