শাড়ি তোমাকে বেশ মানাতো বরাবরের মত মা
অতি আধুনিকা মোটেও ভাল লাগেনা কেন জানিনা
সারা শরীর তুমি সুন্দরভাবে আড়াল করতে জানতে ...


অল্প পোশাকে নারীরা নিজেদেরকে অর্ধেক আকাশ ভাবতে শিখেছে
সময়ের খরস্রোতে সব্বাই কেমন ভাসছে উচ্ছসিত তরঙ্গে
খড়কুটোর মত শরীর থেকে পোশাক উবে যাচ্ছে!


আমি আদিমপন্থী নই বাপ ঠাকুরদার মত -
কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটলেই সব দেবতার পূজা হয় না
পুজোর ফুল আলাদা একেবারে বৈদিক শ্লোকের মত!


যে কোন শাড়িতে যে কোন নারীকে ভাল লাগে
কোনো কোনো মুখের মধ্যে খুঁজে পাই আমার মাকে
ছিন্ন শাড়ি তবুও অপার হাসিতে ভরপুর ছিল মায়ের মুখ!


শৈশবের দিনগুলো আজও খুবই মনের জানালায় উঁকি দেয়
ভরা পূর্ণিমা চাঁদের আলো আমাদের ছোট্ট উঠোনে এসে পড়তো
মায়ের শাড়ির আঁচলে মাথা রেখে আকাশের চাঁদ দেখতাম


খুব মনে পড়ে আজও বারবার খুব মনে পড়ে মায়ের মুখ
সেই চেনা মায়ের আচলের গন্ধ আজও হৃদয় ছুঁয়ে আছে
কত পূর্ণিমা রাত পেরিয়ে গেছে তবুও ভুলতে পারিনা শৈশব!


          **********