একটি স্মৃতিকাতর  বৃষ্টির ফটোগ্রাফ
স্বপঞ্জয় চৌধুরী
তোমার রাগান্বিত কালো মুখের মতো
দলে দলে কতগুলো মেঘ এসে জমেছে আকাশে
আশ পাশের বাড়িতে বারান্দায় ঝুলানো শাড়ি, ব্লাউজ,
খোকার জামা কাপড় পাখির মতো
ছটফট করছে বাতাসে হয়তো সে উড়ে যেতে চায়।
বাতাসের সাথে ভেসে আসছে বুনো ফুলের উগ্র ঘ্রাণ
একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হবে ঝুম বৃষ্টি
কাচা পাতার গন্ধ লেগে আছে নাকে
সহসা বৃষ্টি শুরু হলো
আম শিকারী ছোট বালক বালিকা কোচে করে
আম নিয়ে যাচ্ছে গৃহকোনে,
বৃষ্টি বাড়তে থাকে হোম ওয়ার্কের কপি থেকে
কাগজ গুলো হাওয়া হতে থাকে
ছোট নাও, বড় নাও, মেঝো নাও এরকম শত শত নাওয়ে ভরে ওঠে জলের স্রোত
উঠোনটা আজ আর উঠোন নেই সমুদ্র হয়ে গেছে
তীরে বসে আছে সব নাবিকের দল
কখন ভিড়বে কাগজের নাও স্বপ্ন বোঝাই করে।
ওদিকে দিঘির পেছোল মাঠে পাড়ার যতো
দামালেরা আছে উদোম হয়ে খেলছে ফুটবল,
নতুন জলে ডিম ছেড়েছে ব্যাঙ
বিল, পুকুর থেকে ভেগে আসছে মাছেদের দল
বৃষ্টি নামছে ঝুম বৃষ্টি
একটা ছোট হলুদ সাপ পোহাতে এসেছে বৃষ্টির উত্তাপ
তার নরম মসৃণ গায়ে লেগে আছে রঙিন শুভ্রতা।
এ বুক ভেতর যে এক বিস্তর প্রকৃতি আছে
তাকে ভিজিয়ে দাও তুমি বৃষ্টি
আজ ক্ষনিকের জন্য একাকী এই আমি স্মৃতি হাতড়ে এঁকে ফেলি তবে চিরন্তন বৃষ্টির ফটোগ্রাফ।