জীবনতো কালের ধূলো এক
বায়ুতেই জন্ম, বায়ুতেই মৃত্যু
হিমালয়ের হিমবাহ চোখে
দেখি শুধু পুরোনো সবুজ সন্ধ্যে
ভাঙা কুঁড়েঘর থেকে ভেসে আসা
সত্তরের রোমাঞ্চকর গীতি
ভাঙা চেয়ারের পিঠে কারোবা
নরম নিতম্বের ছোঁয়া।
জীবন কখনো ঘুমের মতো
মাদকতাময় মোহ।
আঁধো আলো, আঁধো ছায়া
কিছু স্বপ্ন, কিছু দুঃস্বপ্ন
বৃষ্টির রাতে দুজনের গায়ের ওম
কখনোবা চলন্ত বাসে বসে
দূরের ছেড়া ছেড়া মেঘের অর্থ খোঁজা
হায় সময় তুমি দিয়েছো অনেক কিছুই
আবার কেড়ে নিয়েছোও ঢের।
কোন একদিন কোন এক সময়
ওই যে ছোট নাও ঘাটের কাছে
নীলাভ আমার ছায়া যদি দেখতে পাও
তবে ভেবো আমি এখনো আছি
সময়ের মহাকাশে, মহাশূন্যে।
দেখেছি অনেক কিছুই
দেখি নাই তার চেয়ে ঢের।
কীভাবে পাহাড়কে আঁকড়ে রাখে ঝাউ
পেপসি ফেনার মতো গড়িয়ে পড়া
ঝর্ণার জলের একতাবদ্ধ হওয়া,
মিহি দানার মতো ঝুনঝুন শব্দে
মাতানো শর্ষের ক্ষেত।
কয়েকটা কদম ফুল বৃষ্টির জলে
মুক্তোর মতো জ্বলছে
আর বিগত সব সমাধির উপর
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া।
একটা দুটো পাখি ভরা মধ্যাহ্নে
খুবলে কুবলে খাচ্ছে শূন্যতা।
জীবন এত সুন্দর কেন?
পৃথিবী হায় পৃথিবী
কতটা রঙিন সময় কাটিয়েছি তোমার বুকে
এবার আমায় কাছে টেনে নাও
কাছে টেনে নাও হারানো বন্ধুর মতো
মৃতপ্রায় নদীর মতো
কাছে টেনে নাও উদ্ভ্রান্ত মায়ের মতো।