আমিতো পৃথিবীতে এসেছি
কৃষ্ণচূড়ার মতো গাঢ় লাল
মেখে গায়ে,
সদ্য বিয়ানো গো ছানার মত
কুসুম ভেজা চুল নিয়ে বায়ুতে।
আমাকে ওম দিয়েছিল
এক অজানা অন্ধকার,
আমাকে জল দিয়েছিলো
এক অচেনা নদী।
একদিন মনের অজান্তে
আমি তার নাম ডেকে ফেলি মা।
মায়েরতো অন্য কোন নাম নেই
কী এক মায়া, কী এক ছায়া
কী এক আদিম রহস্য তোমার ভেতর।
প্রতিটি হেমন্তের বিকেলে
প্রতিটি বর্ষাস্নাত সন্ধ্যায়
যে মেয়েটি জানালার গ্রিল
ধরে দাঁড়িয়ে থাকে এক অজানা রহস্যে
আমি তাকে মা বলে ডাকি।
প্রতিটি ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে
যার হাত দুটো জেগে থাকে
আমার আশির্বাদে আমি তাকে
কী নামে ডাকবো বলো মা ছাড়া।
এ শহরের যত গাছে কৃষ্ণচূড়ার
ফুল ফুটে সব ই আমার জন্মোৎসব
সবই তোমার জঠোরভেদি
গগনবিদারী চিৎকার
আর নূতন আবিষ্কার আলো বাতাস।
মা যেন সত্যই এক কৃষ্ণচূড়া।