সন্ধ্যার আলো ক্ষীণ হলে
এখানে জোয়ার নেমে আসে,
সাড়ে সাত থেকে ষোল কোটি প্রাণের স্পন্দনে
বুকের ভেতর ক্ষোভের বুদবুদি ছাড়ে।
গল্পে, কবিতায়, রাজপথে, ফেস্টুনে
নবজাতকের নিষ্পাপ লালা থেকে শুরু করে
বৃদ্ধার কুচকানো চামড়ার ভাজে ভাজে
ক্রোধের উত্তাপ নেমে আসে।
যখন একটি বজ্রকণ্ঠ
বিশ্ব থেকে বিশ্বময় জানান দেয়
বাঁচার অধিকার আর নিপীড়িতের ক্রন্দন ধারার;
তখন এখানে জোয়ার নেমে আসে।
পথে ঘাটে, স্কুলে, আঙিনায়,
পোড়ো বাড়ির পরিত্যক্ত বারান্দায়
পড়ে থাকে মৃত জোয়ান আর ধর্ষিতার ছিন্ন শাড়ির সুতো,
হলদে শর্ষের ক্ষেত ভিজে থাকে কৃষকের খুনে
তখন এখানে মৃত্যুক্ষধা নিয়ে আকাশ ভেঙে পড়ে।
এখানে একটু ঢেউ দরকার
অবশেষে ঢেউ এলো,
আকাশের সূর্য তাকে কুর্নিশ জানালো।
সে তার মায়াবি হাতের ছায়াতলে
মৃত নগরীর বুকে ফোটালো সোনালী স্বপন
আর একরাশ বর্ষা কদম্ব ফুল।
অতঃপর একদিন একখন্ড অগ্নিছায়া
সেই ঢেউকে দিল থামিয়ে,
পাখিরা, ফুলেরা, শিশুরা
বিমর্ষ হয়ে থাকে ঢেউয়ের শোকে।
কিন্তু ঢেউকে কি কখনো যায় থামানো
সেতো দূর্বার গতির মতই শক্তিমান
বিদ্যুৎ এর মতোই ক্ষীপ্রমান,
তাই এখানে জোয়ার নেমে আসে
প্রতিবার, প্রতিবছর ১৫ ই আগস্টে।