ভালোবাসা তুমি বৃষ্টিস্নাত সকালের প্রথম কদম ফুল
মেঘের ভেতরে মেঘ ঢুকে গিয়ে
মিলেমিশে একাকার হওয়া যেমন,
ভালোবাসা তুমি মুরগীর পালকের ভেতর
মুখ লুকিয়ে রাখা ছানাপোনার মুখ
বজ্রপাতের শব্দে মায়ের বুকের ভেতর
যেমন আঁটসাঁট শিশু।
ভালোবাসা তুমি
বারান্দায় অপেক্ষারত প্রেয়সীর মুখ
অফিস ফেরত ছেলেটির কপাল থেকে মুছে দেয়া ঘাম
গায়ে গা মিশিয়ে পিঁপড়ের হেটে চলা,
ভালোবাসা তুমি শীতের হিমেল রাত্রিতে
ছোট্ট একটি ব্লাঙ্কেটে আঁটসাঁটো
পাঁচ-ছ’জন ভাইবোনের ঘুম
কখনোবা তুমি অভিজাত রেস্তোরায়
বালক-বালিকার কৃত্রিম লুকোচুরি;
ভালোবাসা তোমায় করতে ধারণ
শহরে শহরে লাল-নীল আলোর নিচে
কতগুলো মুখ ও মুখোশ প্রেতনৃত্য নাচছে
তুমি কি তা আজও বোঝা হলোনা ওদের।
ভালোবাসা তুমি দাদুর মুখের পানখাওয়া হাসি,
ঠোটের কোনে লেগে থাকা একবিন্দু চুন;
নরম ঘাসের ওপর হাটা পায়ের শুড়শুড়ি।
এ কৃত্রিম নগরী ছেড়ে চলো আজ
চলে যাই ইথারের কাছাকাছি
যেখানে শুধুই থাকবে ঈশ্বর, আমি আর তুমি।
পৃথিবীর সবগুলো হাত, সবগুলো কন্ঠ
সমস্বরে গেয়ে উঠুক ভালোবাসার গান,
সবগুলো মারনাস্ত্রের বায়নেটে গুজে থাকুক
একটি করে গোলা্প ফুল।