আমি তোমার নতুন-বৌঠান গো ঠাকুরপো!


  একদিন তুমিই তো খোলা আকাশের নীচে শপথ নিয়েছিলে
  দীপজ্বলা পাহাড়ের কোলে দেখিয়েছিলে বসন্তের চারুকলা
   তোমার চোখে ছিল পরিচিত শব্দমালা
    আর মোমের মত স্বপ্ন,ওগো আমার পথভোলা!
    হাতে হাত রেখে লিখেছিলে আমাদের ভালোবাসার জন্মকথা--
    বীজ থেকে অবয়ব,তারপর ট্রাপিজের খেলা
   ঠাকুরপো,ঝড় বাতাসকে উপেক্ষা করে
   আমার ষষ্ঠ-ইন্দ্রিয়ের রূপরেখাকে রেখেছি ধরে
    তোমার চোখের ভাষাই তো আমায় শিখিয়েছে ফাগুণের গান
   আমার চোখের তারায় দেখেছিলে নাকি তোমার সর্বনাশ!
    অজস্র বর্ষণ যে রাত্রিকে ধুইয়ে দেয়--সেই বৃষ্টিধারায়
    আর ঝড়ের ঝাপ্টায় বিপর্যস্ত তুমি গান গেয়ে উঠেছিলে


     রবিঠাকুর,ফসিল হয়ে থাকবে যুগ-যুগান্ত ধরে  
     আমাদের প্রেমের অভিকর্ষ
     তোমার ঘ্রাণ,তোমার আলিঙ্গণ,তোমার যৌবনেরই মায়া,
     আমার নৈবেদ্য ছিল আমার প্রেম
      মোমবাতির শিখার মত যা নিষ্কম্প।
     সেই মোমবাতিকেই উৎসর্গ করলাম
     আমাদের ভালবাসার কাব্যকথা
     আমাদের প্রেমের সাক্ষ ও-ই তো সর্বাঙ্গে ধারণ করেছে!