ছেঁড়া চিঠির পাতা থেকে- ১


লোডশেডিং দেখছিলাম
তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ছিল
অতুলের সেই লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি পড়া
শক্ত শক্ত বাংলা লেখা
আমিও পুরনো লকার থেকে
তোমার দু একখানা চিঠি বের করে
তোমাকে স্পর্শ করছিলাম
অনেক ভাবি কাঁদবো না
তবু তোমার লেখাগুলো
চোখ ভিজিয়ে যায়।
বেশ মনে পড়ছিল
আজ থেকে এগারো বছর আগে
তারিখ টা ঊনিশে এপ্রিল
ঘড়িতে তখন ৯ টা
ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলো
হলুদ টি- শার্ট- এ তুমি দাঁড়িয়ে
কাদের সাথে যেনও গল্প করছিলে !
ধুলো থেকে সেদিনের রাতে
কুঁড়িয়ে নিয়েছিলাম
প্রথম চিঠি
তোমার হাতে লেখা কত দামি !
অতুলের মতই ছোট ছেলের মত
প্রথম প্রশ্ন ছিল আমাকে
আচ্ছা
তোমার প্রতিদিন রাত্রে ঘুম হয় ?


ছেঁড়া চিঠির পাতা থেকে- ২


প্রিয়ম,
আমার গভীরে না গিয়েও
আমার শরীরে নিজের স্পর্শ রেখে গেছো


তুমি তো অতুলের মত আমার বুকের ধুকপুকানি টা চাও নি
ঐ যে প্রতিটা মানুষের জীবনে একটা ছায়া থাকে
তোমার ঐ ছায়া টা যেনও আমার থেকে দূরে না যায়


সামান্যর মাঝে কি অসামান্যটুকুই না চেয়েনিয়েছিলে !


ছেঁড়া চিঠির পাতা থেকে- ৩


দাদা বলছিল আমাকে নীল ছবির কথা
ভয়ে ভয়েই তোমায় জিজ্ঞাসা করে ফেলেছি
প্রিয়ম, নীল ছবি কি ?


নেচার- স্ট্যাটাস !


ইতিহাসের নোট লিখি রাতে
পরিবেশ দূষণ দেখি চিঠি জুড়ে
বয়সের আগেই সীমারেখা ভুলে যায়
পরীক্ষার ফলাফলে আমার পাঁচশো বারো,
তুমি কত আনবে তোমার হাতে
আমি যেন দেখি আমি তোমার থেকে অনেক পিছিয়ে
বাকি নীল ছবি ! রাত বাড়লেই গাছেরা অদ্ভুত
জানার বয়স হয়নি প্রিয়ে,বিছানায় স্বপ্নের দাগ
ঐ যে বলেছি অসাধারন হবার দরকার নেই
আজীবন আমার সাধারন হয়ে থাক ।